৩ ডিসেম্বর সিলেট হাফ ম্যারাথন

 



নিউজ ডেস্কঃ স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আগামী ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ৬ টায় সিলেট রানার্স কমিউনিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে 'কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হল সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২১'।

সিলেট রানার্স কমিউনিটি ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর যাত্রা শুরু করার পর বিভিন্ন ধরণের দৌড় প্রতিযোগিতা ও দৌড়বিদদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের সিলেট মিনি ম্যারাথন ২০১৯ এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে ব্র্যান্ডস্ল্যান্সার সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২০, জানুয়ারি ২০২১ এ ৱ্যাব ফোর্সেস সিলেট হাফ ম্যারাথন ২০২১ এর পর এবারের চতুর্থ বৃহৎ আয়োজন এই হাফ ম্যারাথন।

মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের মিরের ময়দানে ফারমিস গাডের্নের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আয়োজক কমিটির সদস্য মনজুর আহমেদ আরিফ, ডা ওরাকাতুল জান্নাত, মোঃ হাসান আহমেদ, মোহাম্মদ মিজানকা, কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবু সালেহ, আলি কামাল সুমন এসব তথ্য জানান।

আয়োজক কমিটির সদস্যরা আরো জানান, তরুণ সমাজকে মাদক ও খারাপ দিক থেকে বিরত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমরা প্রতি বছরই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে দৌড়ের প্রতি আকৃষ্ট করছি। এই ধরণের আয়োজনে একেকটা জায়গায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দৌড়বিদ আসেন যা দেশের পর্যটন শিল্পেও ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আমরা পরিবেশ বান্ধব এই ধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখতে চাই এবং সবাইকে দৌড়ানোতে আসার আমন্ত্রণ জানাই

সর্বমোট ১২০০ জন দৌড়বিদের সমন্বয়ে ২১.১ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটার দুই ক্যাটাগরিতে ইভেন্টটি আয়োজিত হচ্ছে। ২১.১ কিলোমিটারে ১৫ জন নারী ও ৩৩৫ জন পুরুষ মিলে ৩৫০ জন অংশ নিচ্ছেন।  ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  ১০ কিলো জেনারেল , ১০ কিলো ৪৫ -৫৫ বয়সীদের জন্য আলাদা সেগমেন্ট আর ৫৬ বছর উর্ধে যারা তাদের আলাদা সেগমেন্ট। ১০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে  ৭০ জন নারী ও ৭৮০ জন পুরুষ মিলে মোট ৮৫০ জন দৌড়বিদ অংশ নিচ্ছেন। দৌড়টি নগরীর সার্কিট হাউজের সামনে থেকে সকাল ৬ টায় শুরু হয়ে বন্দর, জিন্দাবাজার, আম্বরখানা ,এয়াপোর্টরোড - বাইশটিলা গিয়ে ইউ টার্ন নিয়ে এসে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রাঙ্গনে শেষ হবে। ইভেন্টে আমাদের নিজস্ব ১৮০ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবে যারা রোড সেফটির পাশাপাশি ফার্স্ট এইড সাপোর্ট প্রদান করবে।

আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকারিয়া।

এই আয়োজনের প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে রয়েছে' কুশিয়ারা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হল। এর পাশাপাশি পৃষ্টপোষক হিসেবে আছেন - মেসার্স সুরভী এন্টারপ্রাইজ, ফ্রেশ সিমেন্ট, ফিজা এন্ড কোং, ইউনিপেক্স, লতিফ হলিডেজ, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ফাইনেস লাইফস্টাইল, স্বাদ ক্যাফে, এডুওয়াইজ, ব্লুপ আইসক্রিম, এসএমসি প্লাস, বাফেট প্যারাডাইজ , সেনসোডাইন ও একটিভ সাইকেল। 

Post a Comment

Previous Post Next Post