ইভেন্ট ৯৭ এর গেটটুগেদার



আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটুঃ ইভেন্ট ৯৭ গ্রুপে হটাৎ করেই ঘোষণা এলো গেটটুগেদার। একে-একে অনেক স্পট,অনেক রেষ্টুরেন্ট, অনেক রিসোর্টের নাম এলো। অনেকেই ভেবেছে অনুষ্ঠানটি হবে,অনেকেই ভেবেছে হবে না।তবে খুব দ্রুত ১৯ জুন ২০২১ শনিবার দিনটিই নির্ধারিত হয়ে গেলো। ১২ জুন ছিলো এন্ট্রির শেষ দিন। শেষ অবধি ১০৭ জন ৯৭ ব্যাচ এর বন্ধু নিয়েই চুড়ান্ত হয়ে গেলো। ভ্যানু হলো দি ফরেষ্ট লাউঞ্জ,ধানমন্ডি অসাধারণ রুফটফে।

শুধু তাই নয় ছবি দিয়ে মগ প্রিন্ট, টি-শার্ট, আর অন্য রকম একটা উপহার জায়নামাজ পরিশেষে এই করোনায় কি মাস্ক বাদ দেওয়া যায়,  যায়না তাই এন-৯৫ মাস্ক।




এই সব কিছুরই থিংক ট্যাংক আমার বন্ধু শারমিন মাহমুদ, যার প্রধান সহযোগী শারমিন এর স্বামী আমাদের প্রিয় দুলাভাই জনাব মাহমুদ।

সকাল থেকেই বৃষ্টিস্নাত পরিবেশে সময় বাড়তে থাকে। রওয়ানা দিতেই প্রিয় স্কুল বন্ধু বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর এর সাথী সুলতান আহমদ এর লাইভ আরো জাগিয়ে দিয়েছিলো সবাইকে, কখন এক সাথে হবো আর মজায় মেতে উঠবো।

সেই সময় এলো। সব বন্ধুদের সাথে কুশলাদি বিনিময় আর সেল্ফির আওয়াজে। আর বন্ধু ফরিদ এর ডি এস এল আর ক্যামেরা তো আছেই।এক উৎসব এর শুরু যেনো হয়ে গেলো।

বুফে খাওয়ার সিরিয়ালে দাঁড়ানো যেনো বন্ধুদের আরো কাছে এনে দিলো।

এই দিকে চার বন্ধু সকলের গিফট হ্যাম্পার বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্বে আছে।সেই সাথে সোহরাওয়ার্দী বন্ধু পাহাড়ী আম অন্য সকল বন্ধুদের দিচ্ছে।সে সকলের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে এসেছে।

আর এই দিকে সুন্দর একটা ব্যপার হলো, আমাদের এক সি আইপি বন্ধু শারমিন কে বলেছিলো সে কিছু একটা গিফট করতে চায় আর শারমিন বলেছিলো অনুষ্ঠানের দিন চেয়ে নেবে আর তাই হলো। সে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্য জব চেয়ে নিয়ে মহত্যর অসাধারণ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখালো।

শুরু হয়ে গেলো জমজমাট গান আর নাচের ঝলকানি।যার মাঝে সবাই সত্যিই অন্য জগতে হারিয়ে গিয়েছিলো।

অনুষ্ঠানের সময় শেষ হলেও আমাদের সময় শেষ হতে চাইছিলো না কিন্তু যেতে তো হবেই।আবার আসার প্রত্যাশা নিয়েই বিদায় নিতে হলো।অনুষ্ঠান শেষ হলেও স্মৃতি গুলো শেষ হবার নয়।স্মৃতি থাকবে অমলিন।

বন্ধুত্বের জয় হউক।
"বন্ধুত্ব অবিরাম"
জয় হউক "ইভেন্ট ৯৭" এর।
লেখক-মোঃ আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটু,
সদস্য-ইভেন্ট-৯৭
পরিচালকঃ নিউজ পোর্টাল, ডেইলি বিডি মেইল ডট কম।

Post a Comment

Previous Post Next Post