নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক তরুণীকে চা বাগানে বেড়াতে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি অটোরিকশাচালক সজল মালাকারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাকি দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম ভূঁইয়া জানান, ৭ জুন সোমবার স্কুল থেকে অ্যাসাইনমেন্ট আনতে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। পথে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে তাকে ফুঁসলিয়ে কুলাউড়ায় নিয়ে যান ২৪ বছর বয়সী সজল।
সেখানকার একটি বাগানে সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে তাকে এক সহযোগীর বাসায় নিয়ে যান অটোরিকশা চালক সজল। পরে সেই বাসা থেকে মেয়েটিকে নিয়ে একটি বাড়িতে যান তারা। সেখান থেকে রাতে তাকে বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে তারা চলে যান।
এসআই মাসুদ জানান, মেয়েটি কারও নাম জানত না। তবে দেখলে চিনতে পারবেন বলেছিলেন। পরে মেয়েটির কথামতো অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যাওয়া হয়। সেখানে মেয়েটি সজলকে শনাক্ত করলে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ সজল তার সহযোগীদের নাম বলে দেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সোমবার তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে সজলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাকি দুই আসামি তুহিন মিয়া ও আরফান আলীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। তিনি আরও জানান, চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।