ঢাকা–জলপাইগুড়ি ট্রেন উদ্বোধন



অনলাইন ডেস্কঃ ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন।

ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন চলাচল শুরু করতে গত বছর বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ পুনর্নির্মাণ করা হয়। এই পথে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ট্রেন চলাচল ছিল। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এ রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ওয়াগন চলাচলের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ৫৫ বছর পর পুনরায় চালু করা হয়।

নতুন উদ্বোধন করা মিতালি নামের এই ট্রেনটি ঢাকার সেনানিবাস রেলস্টেশন থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে নিউ জলপাইগুড়ির পথে চলাচল করবে। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনটি উভয় দেশ থেকে সপ্তাহে দুই দিন করে চলাচল করবে। বাংলাদেশ থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার। ভারত থেকে রোববার ও বুধবার চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ট্রেনের নাম ঠিক করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটি নাম পাঠানো হয়—মিতালী, সম্প্রীতি, সুহৃদ ও বন্ধুত্ব। এ থেকে মিতালী নামটিই বাছাই করেন তিনি। ভারত–বাংলাদেশ এখন যে দুটি ট্রেন চলছে, তার মধ্যে ঢাকা–কলকাতা ট্রেনের নাম মৈত্রী এক্সপ্রেস, খুলনা–কলকাতা রুটের ট্রেনটি হলো বন্ধন এক্সপ্রেস।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডগেজ ট্রেনের কোচ নেই। এ জন্য ভারতের কোচ দিয়েই যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কোচের একটি ট্রেন বিনা পয়সায় ভারত দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ কোচ আমদানি করলে নিজস্ব ট্রেন চালানো হবে। সম্ভাব্য ভাড়ার হার ও কোন দেশ কত রাজস্ব পাবে, সে প্রস্তাব ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে। ট্রেনে তিন ধরনের আসন থাকবে। এসি বার্থ, এসি সিট ও এসি চেয়ার। এগুলোর ভাড়া হার প্রস্তাব করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৪, ৩৩ ও ২২ ডলার।

ঢাকা-জলপাইগুড়ি পথের দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৫২৬ কিলোমিটার।

Post a Comment

Previous Post Next Post