শমশেরনগরে প্রথম আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথন দৌড় অনুষ্ঠিত

 



নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারে চা বাগান ও পাহাড়ী জনপথে ভেতর প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আলট্রা ট্রেইল ম্যারাথন দৌড়-২০২১ প্রতিযোগীতা। এতে অংশ নিয়েছেন ১৭টি দেশের ৩০ জন সহ ৭ শধাধিক নারী ও পুরুষ রানার। তিনটি ধাপে যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার, ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং ১০ কিলোমিটার দূরত্বে আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশগ্রহনকারীরা উৎফুল্লতার সাথে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন।

শমশেরনগর চা বাগান ফুটবল মাঠে শুক্রবার ২৯ জানুয়ারি ভোর ৫টায় জড়ো হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রানার। তার সাথে যোগদেন বিদেশী রানাররাও।

ভোর ৬ টায় প্রথমে শুরু হয় ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ম্যারাথন দৌড়। পরে সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় ম্যারাথন দৌড় শুরু হয় ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের। সব শেষে ভোর সাড়ে ৭ টায় শুরু হয় ১০ কিলোমিটার দূরত্বের ম্যারাথন দৌড়। তিনটি ধাপে দেশী বিদেশী ৭ শতাধিক রানাররা পৃথক তিনটি ট্রেইলে শমশেরনগর চা বাগান মাঠ থেকে শুরু করে দেওছড়া চা বাগান ও কানিহাটি চা বাগান হয়ে আবার শমশেরনগর চা বাগান মাঠে পৌছে শেষ করেন। এসময় অনেক অংশ গ্রহনকারী রানাররা তাদের অনুভুতি জানান।

দেশী-বিদেশী রানারদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিতব্য আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশ গ্রহনকারীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা সহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতিটি ট্রেইলে নারী ও পুরুষ মিলে ৬টি পুরস্কার সহ মোট ১৮ জন রানারকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এ ছাড়াও সকল অংশ গ্রহনকারীদের বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। অংশগ্রহনকারী রানাররা জেলার বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই রিসোর্ট, গেষ্ট হাউজ আগাম বুকিং করে ছিলেন।

শমসের নগর আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথন এর সদস্য সচিব নবীল শমসেরী জানান, পৃথক ভাবে ৩টি ট্রেইলে সময় বেঁধে দেয়া হয় যথাক্রমে সাড়ে ৮ ঘন্টা, সাড়ে ৩ এবং ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, জার্মানী, আমেরিকা সহ ১৭টি দেশের রানার অংশ নেন। বাংলাদেশের পতাকা বহনকারী যারা ইতোমধ্যে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন এমন বেশ কয়েকজন রানারও এ আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন। দেশী-বিদেশী রানারদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিতব্য আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশ গ্রহনকারীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা দেখাশুনা সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। চা বাগান ও পাহাড়র বেষ্টিত এলাকায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের মাধ্যমে শমশেরনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা তাদের লক্ষ্য।

Post a Comment

Previous Post Next Post