বাসে ধর্ষণচেষ্টা : সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিলেন হেলপার রশিদ

 



অনলাইন ডেস্কঃ  সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া হেলপার রশিদ আহমদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ চেষ্টার সত্যতা মিলেছে বলেও জানিয়েঝেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান।

সোমবার ভোরে সুনামগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজারের বুঙ্গাইরগাঁও থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে তিনি ওই তরুণীর বাসে উঠা থেকে শুরু করে লাফ দিয়ে নামা পর্যন্ত পুরো ঘটনার বর্ণণা দেন বলে জানান খালেদ উজ জামান।

তিনি জানান, ঘটনার দিন থেকেই পিবিআই আসামিদের খুঁজতে অভিযান চালালে সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের গোবিন্দগঞ্জ বাজারের পাশ্ববর্তী এলাকা বুঙ্গাইরগাঁও থেকে বাসের হেলপার রশিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হেলপার রশিদের বারাত দিয়ে পু‌লিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান বলেন, সিলেটের লামাকাজি থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে বাসে তুলে দেন তার বোন জামাই। বাসটি সুনামগঞ্জ যাওয়ার কথা ছিলো এবং বাসটিতে বিভিন্ন এলাকার মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে দিরাই যাওয়ার জন্য ছিলেন ৬ জন। দিরাই যাওয়ার রোড ভিন্ন হওয়ায় ৬ জন যাত্রী দিরাই রাস্তার মোড়ে নেমে গেলেও ওই তরুণী সুনামগঞ্জ চলে যান। পরবর্তীতে বাসটি আবার দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে আসলে বাসে কোন যাত্রী তুলা হয়নি।

পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি প্লানওয়াউজ কাজ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে বাসে চালক হেলপার ও গেটকিপার থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে, এটা ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

রশিদকে সোমবারই দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেগুলো আমরা দিরাই থানার কাছে হস্তান্তর করবো। আমরা আসামিকে ধরে থানাকে সহযোগিতা করলাম মূল তদন্তটা এখন দিরাই থানা করবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি বাসে দিরাই যাচ্ছিলেন এই কলেজ ছাত্রী। তার বাবার ভাষ্য, পৌরসভার সুজানগর এলাকায় বাকি যাত্রীরা নেমে গেলে বাস ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় বাসের চালক ও হেলপার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই জন ধর্ষণের চেষ্টা চালালে আত্মরক্ষায় চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন মেয়েটি।

স্থানীয়রা আহত মেয়েটিকে দিরাই হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। শনিবার মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা।


Post a Comment

Previous Post Next Post