সরকারি স্কুলে ভর্তি: আবেদন ৫ লাখ

 



নিউজ ডেস্কঃ সারাদেশে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে অনলাইনে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এবার ৮০ হাজার আসনের বিপরীতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ আবেদন জমা পড়েছে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সফটওয়্যারের মাধ্যমে সারাদেশে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন বিকেলেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশি সূত্র জানায়, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৮০ হাজার শূন্য আসনের জন্য ৫ লাখের কাছাকাছি আবেদন এসেছে। রোববার বিকেল ৫টায় আবেদনের সময় শেষ হলেও রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে। ফলে মোট আবেদন সংখ্যা আরো কিছুটা বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. বেলাল হোসাইন বলেন, দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবার একযোগে অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং একযোগে শেষ হচ্ছে। অনেকে এক বিদ্যালয়ে একাধিক শিফটে আবেদন করেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর লটারি আয়োজন করা হবে। সেদিন রাতের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে একাধিক অভিভাবক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, অনলাইনে ভর্তির বিষয়ে বাচ্চাদের বয়স বেধে দেয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আবেদনের যোগ্যতা হারিয়েছে। তবে এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, সর্বশেষ পরিপত্র সংশোধন না করা হলে নতুন করে আবেদনের আর কোনো সুযোগ থাকছে না।

এবার ভর্তি নীতিমালায় নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পরিবর্তে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। ভর্তি ফরমের মূল্য ১৭০ টাকার বদলে ১১০ টাকা করা হয়। আগের মতো আর স্কুলে বড় আয়োজনের মাধ্যমে লটারি অনুষ্ঠিত হবে না। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভর্তি লটারি অনুষ্ঠিত হবে। টেলিটক মোবাইল কোম্পানি ভর্তি লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ঢাকা মহানগরীতে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা রয়েছে। ঢাকার এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরো দুটি বিদ্যালয়ও যুক্ত হচ্ছে।

এবারো বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছে বা ভাগ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজটি করা হবে। এবার একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।


Post a Comment

Previous Post Next Post