বিচার দেখে যেতে পারলে বাচ্চাটার আত্মা শান্তি পাবে: রায়হানের মা

 


 

নিউজ ডেস্কঃ ঘটনার দিন ১০ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে রায়হানকে তাড়া করে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। জীবন বাঁচাতে কাষ্টঘর এলাকার সুইপার কলোনির এ বাড়িতে আশ্রয় নেয় রায়হান। এরপর সিএনজিতে তুলে পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয় তাকে। তখন রাত তিনটা। সিএনজি’র ওই চালক জানান, যখন গ্রেফতার করা হয় তখন একেবারে সুস্থ ছিল রায়হান। হাতে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে আসা হয় তাকে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় লাগোয়া ফাঁড়িতে নিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরের নেতৃত্বে চলে অমানুষিক নির্যাতন। ফাঁড়ির গা ঘেঁষে অবস্থিত এই মেস থেকে নির্যাতনের সে আওয়াজ শুনেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে একজন বলেন, আমাকে মেরো না। আমি তো চোর বা ডাকাত নই। এমনভাবে চিৎকার করতেছিল। জানোয়ারকেও মানুষ এভাবে মারে না।

রায়হানের পরিবার জানায়, ওই রাতেই দশ হাজার টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে এসআই তৌহিদের নাম্বার থেকে ফোন করে রায়হান। টাকা নিয়ে রাতে ও ভোরে ফাঁড়িতে গিয়েও রায়হানের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি তাদের।

কান্না জড়িত কণ্ঠে রায়হানের মা বলেন, আমার ছেলের পেটের মধ্যে তারা বুট জুতা দিয়ে ভিতরটা আউলিয়ে ফেলছে। আমার ছেলের নাড়িভুঁড়ি সব ফেটে গেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার যদি আমি মৃত্যুর আগে দেখে যেতে পারি তাহলে আমার বাচ্চাটার আত্মা শান্তি পাবে। কিন্তু আমি তো আমার বাচ্চা পাবো না আর।

রাতভর এসআই আকবরের নেতৃত্বে চালানো নির্যাতনেই মৃত্যু হয় রায়হানের। এরপর পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যুকে আড়াল করতে সাজানো হয় গণপিটুনির নাটক। গায়েব করা হয় মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত। পরে সিসিটিভির ফুটেজে গণপিটুনির সত্যতা না মেলায় বেরিয়ে আসে রায়হান হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post