আন্তর্জাতিক
ডেস্ক: আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে একাধিক নির্বাহী
আদেশ জারির পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো
বাইডেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হারিয়ে নির্বাচিত হন
তিনি। পুরনো প্রশাসনের নেয়া অনেক নীতিতেও আসবে আমূল পরিবর্তন। বাইডেন
গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুকে আগ্রাধিকার দিয়ে তার হোয়াইট হাউসের যাত্রা শুরুর
পরিকল্পনা করছেন।
বাইডেনের প্রচারণা শিবির এবং গেল কয়েক মাসের
নির্বাচনী সভায় বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে
যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরাবেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায়ও ওয়াশিংটনকে যুক্ত করবেন।
মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন বাইডেন।
ড্রিমার্স প্রকল্প পুনস্থাপন করবেন তিনি। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ছোট বেলায়
কাগজপত্র ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া অবৈধ শিশুরা দেশটিতে থাকার সুযোগ পেয়ে
আসছিল।
ক্ষমতার পালাবদলে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসে। ট্রাম্প থেকে
বাইডেনের ক্ষমতা বুঝে নেয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
মার্কিন বিচার থেকে শুরু করে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের অভিযোগ
রয়েছে। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিনদের অতীত ঐতিহ্য তিনি
পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন। যা মার্কিন ইতিহাসে একটি চমকপ্রদ ঘটনা হতে যাচ্ছে।
মার্কিন
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোতে বাইডেনের শীর্ষ উপদেষ্টার নেতৃত্বে কয়েকশ’
ট্রানজিশনাল কর্মকর্তা কাজ করছেন। কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলো
সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে গেলো কয়েক মাস ধরে কাজ করছেন তারা।
বাইডেনের নির্বাচনী ইশতিহারেও সে পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলো ক্ষমতা
গ্রহণের পর দ্রুত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
সোমবার করোনা
ভাইরাস মোকাবিলায় টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন। করোনা ভাইরাস
মোকাবিলাকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
কয়েকদিনের মধ্যেই টাস্কফোর্সের বৈঠক হতে যাচ্ছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ
অ্যাডমিনিস্ট্রাশসন কমিশনের সাবেক জেনারেল সার্জন বিবেক মুর্তি এবং ডেভিড
কেসেলার যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংস্থা
পুনর্গঠন এবং নতুন কিছু নিয়মনীতি প্রবর্তন করতে চাচ্ছেন বাইডেন। তার
ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্বাহী আদেশ জারি করাকে বেছে
নেবেন বাইডেন। বিশ্বমঞ্চে বাইডেন একটি ভিন্ন মাত্রা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন
বলেও প্রত্যাশা তাদের।
