কাতারে এসএসসি ২০০২ ও এইচএসসি ২০০৪ ব্যচের দিনব্যাপি ক্রিকেট কার্নিভাল

 

 


বিশেষ প্রতিনিধিঃ করোনা উদ্বেগ কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে কাতারের সার্বিক পরিস্থিতি। স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করে আবারও সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে খেলাধুলার। তারই  প্রেক্ষিতে ফেসবুক ভিত্তিক বন্ধুদের সংগঠন এস এস সি ২০০২ এইচ এস সি ২০০৪ বাংলাদেশ, এর কাতারের বন্ধুদের ক্রিকেট দল কাতার সুপার কিংস ২৭ নভেম্বর আয়োজন করে দিনব্যাপি ক্রিকেট কার্নিভাল এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিনের লকডাউন শেষে এই কার্নিভালে দর্শক ও ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা। ক্রিকেট খেলা উপভোগ করতে মাঠে প্রবাসী বন্ধু ও বাংলাদেশি দর্শকদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। রাজধানী দোহা এর ভি আই পি হোটেল সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত কার্নিভালে সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাতারের সকল বন্ধু,বান্ধুবি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

কাতার সুপার কিংস হিরোজ, কিউএসকে ফাইটারস এবং কিউএসকে সিক্সারস — এই তিন টিমের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কি এস কে ফাইটার্স এবং রানার্সআপ হয়েছে কিউএসকে সিক্সার্স ।

কাতার সুপার কিংস অধিনায়ক আদিবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সহ-অধিনায়ক মাসুমের ব্যবস্থাপনায় তানিন, সোহেল,হারুন, মোবারক ও মাগফুরের সহযোগিতায় ক্রিকেট কার্নিভালের পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইমন।

পরে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলকে পুরস্কৃত করা হয়। এই সময় তিন দলের ক্যাপ্টেন ছাড়াও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বন্ধুদের মধ্যে থেকে ইমন, তানিন ও মাগফুর । বক্তারা বলেন এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ও প্রয়াস বন্ধুত্বের বন্ধন মজবুত করে প্রত্যেকের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। সেই সাথে আড্ডা মাস্তি খানা পিনা হৈ হুল্লোড় এবং খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও স্মৃতিরপাতায় ধরে রাখার মত একটা দিন কাটানো প্রবাসী বন্ধুরা। খেলাধুলায় কেউ হারে, কেউ জয়লাভ করে। মূল কথা হলো খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা।তারা আরো বলেন, খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে। খেলাধুলা জীবনকে সুন্দর ও পরিশীলিত করে। খেলোয়াড়দের মধ্যে সৃষ্টি হয় শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যপরায়ণতা।সবাই আয়োজক কমিটিকে এ ধরনের প্রতিযোগিতামূলক খেলা আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানান এবং অতীতের মতো ভবিষ্যতে ও তাদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

চ্যাম্পিয়ন কিউএসকে ফাইটার্সের পক্ষে মাসুম এবং রানার্সআপ কিউএস কে সিক্সার্স এর পক্ষে আদিব, পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিজয়ী দলের মাসুম ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হয়।



 

উল্লেখ্য ডেইলি বিডি মেইলের পরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটু'র ছোট ভাই কাতার প্রবাসী মোহাম্মদ আতিকুর রাহমান চৌধুরী রিন্টুও এই প্রতিযোগিতার একজন খেলোয়াড় ও আয়োজক ছিলেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন রিন্টু স্কুল ক্রিকেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেছিলেন এবং সুনাম অর্জন করেছিলেন। বড় ভাই মোঃআনিসুর রহমান চৌধুরী লিটু নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান  ও স্পিন বোলার হলেও রিন্টু ছিলেন হার্ড হিটার ওপেনার  ও পেস বোলার। বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে একসময় একেসি ক্রিকেট টিম এর গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড় ছিলেন এই দুই ভাই। 

Post a Comment

Previous Post Next Post