নিউজ
ডেস্কঃ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ
করেছেন মো. নিশারুল আরিফ। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাতে সিলেট এসে তিনি এ
দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত সোয়া সাতটায় ওসমানী
বিমানবন্দরে নেমে তিনি নিজের কর্মস্থলে যোগদানের আগেই সোজা হযরত শাহজালাল
(রহ.) মাজারে যান এবং সেখানে এশার নামাজ আদায় করেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার
দিকে আখালিয়ার নেহারিপাড়ায় রায়হানের বাড়িতে যান এসএমপির নবনিযুক্ত এই
কমিশনার। এসময় তিনি প্রায় আধাঘন্টা রায়হানের মায়ের সাথে কথা বলেন এবং
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর পুলিশ
ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান অভিযুক্ত
এসআই আকবরের পালিয়ে যাওয়া এবং সার্বিক বিষয়ে এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার
গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। একাধিক গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে গত ২২ অক্টোবর
তিনি বদলির আদেশ পান এবং তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হন মো. নিশারুল আরিফ।
মো.
নিশারুল আরিফ ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী
লাভ করেন। পরে ১৭তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডার এর মাধ্যমে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন তিনি।
কর্মজীবনের শুরু থেকে
তিনি সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, এসএসএফ, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার পদে টাঙ্গাইল জেলা, র্যাব, খুলনা জেলা, সিলেট জেলা ও ২০০৬
খ্রিস্টাব্দে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতির পর তিনি সিআইডি ঢাকা, উপ-পুলিশ
কমিশনার (উত্তরা ও মিরপুর) ডিএমপি ঢাকা, রাজশাহী জেলা, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে
তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ কার্যালয়
এবং ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ডিআইজি ও সর্বশেষ বাংলাদেশ পুলিশ পদে পদোন্নতি পেয়ে
এসপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স, উত্তরা ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
তিনি
কসভোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও অংশগ্রহণ করেন। কর্মময় জীবনে তিনি দেশে
এবং দেশের বাইরে থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, অস্টেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং
শ্রীলঙ্কায় সাফল্যের সাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। ব্যক্তিগত
জীবনে তিনি এক কন্যা সন্তান এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।
যোগদানের
পরেই তিনি এসএমপির অফিসার ও ফোর্সদের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভার পাশাপাশি
পূণ্যভূমি সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জনবান্ধব পুলিশিং এ সিলেটবাসীর
সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।