জসীম চৌধুরী: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দিগলকান্দি-ফটিগুলী কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশা। তিন কিলোমিটার এই সড়কে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টির হলে কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে জনদুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তীতে পড়ছেন এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তার করুন অবস্থা দেখার যেনো কেউ নেই। রাস্তাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো একটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে চার গ্রামে ১০ সহস্রাধিক মানুষের চলাচল। দিগলকান্দি,পূর্ব ফটিগুলি, ফটিগুলি ও বুধপাশা গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি কাঁচা। এই রাস্তা পাকা করার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিগলকান্দি-ফটিগুলী কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচন্ড এ কাঁদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা সময় মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দিগলকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফটিগুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,পূর্ব ফটিগুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমদাবাদ মাদরাসা,আল রাহমানিয়া মাদরাসা, কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়, হায়দরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, আলী আমজদ স্কুল এন্ড কলেজ ও লংলা আধুনিক ডিগ্রী কলেজে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালে সময় মতো নিতে না পারায় বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি আশায় বছরের পর বছর ভোগান্তীর স্বীকার এসব এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় কুলাউড়ার সংসদ সদস্য, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের কাছে আবেদন জানালেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ রাস্তাটি এ চার গ্রামের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাস্তাটি পাকা করণে স্থানীয় এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
স্থানীয় দিগলকান্দি-ফটিগুলী গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হারিছ আলী,সাইফুর রহমান,মোজাহিদুল ইসলাম,এল এম প্রণয়,আব্দুল বাসিত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় সময়মতো যেতে পারেনা। তাঁরা বলেন, কতো রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা পাকা হচ্ছে না কেন, বলতে পারেন? তারা আরো জানান, দিগলকান্দি গ্রামের সেলিম মিয়ার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রীকে সময়মতো গাড়ী না পাওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রসববেদনায় মৃত্যু হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অসুবিধা বিবেচনা করে কাঁচা রাস্তাটি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য তারা কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।