একজন এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী

জাকির আহমদ চৌধুরী: খবরে শুনেছি করোনা পরিস্থিতিতে নাকি অনেক এমপি এলাকা ছাড়া। তারা ঢাকার আলিশান বাসায় হোম কোয়ারেন্টিন পালন করছেন। যাক এসব কথা। সময়টাতো নিজেকে বাঁচানোর। তারা হয়তো পরিবার পরিজন নিয়ে আয়েশি দিন রাত পার করছেন। এটাও বলে নিচ্ছি অনেক এমপি মহোদয়রা নাকি ঢাকা থেকে টেলিফোনে এলাকার মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন।
এবার আসি আসল কথায়। যাকে নিয়ে আজ কিছু লিখতেই হবে। না হলে এটা বিবেকহীনতার পরিচয় দেয়া হবে। সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। তিনিও পারতেন তার পরিবারের সঙ্গে দিব্যি আরাম আয়েশে ঢাকায় বসে কাটাতে। কিন্তু না, তিনি সেটা করেননি। নির্বাচনের সময় যেমন মানুষের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে গ্রাম থেকে গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘরবন্দি মানুষের খোঁজ নিচ্ছেন। ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। হোম কোয়ারেন্টিন বলেন আর লকডাউন বলেন সেটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন। তিনি চাননা তার এলাকার একটি মানুষও করোনা আক্রান্ত হউক। তাই সচেতনতার জন্য তিনি মানুষকে বুঝাচ্ছেন। নিজের তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কর্মহীন, অসহায়, গরীব পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করছেন। কেবলমাত্র সরকারি ত্রাণ সহায়তা বণ্টন নয়, নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ, তিনটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা, স্থানীয় প্রশাসনকে পরামর্শ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণসহ নানা কাজে সরাসরি নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন সারাদিন।
নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাঁর নির্বাচনী এলাকা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে অসহায়, দরিদ্র তিন হাজার পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা শত শত প্রবাসী বাড়িতে নেতাকর্মীদের দিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। শুধু কি তাই এলাকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে তিনি এমনভাবে মিশে গেছেন। হাওরে নেমে কৃষকের সঙ্গে ধান কাটছেন।
মাহমুদ সামাদ চৌধুরী দিনমজুর, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, কৃষকসহ সবারই মনে এমনভাবে জায়গা করে নিয়েছেন যেটি লিখে বুঝানো কষ্টকর। এলাকার যুবসমাজের কাছে তিনি আইকন আইডল হয়ে আছেন।
যে কথা না বললে নয় সেটি বলা দরকার। প্রতিটা এলাকায় একজন মাহমুদ সামাদ চৌধুরীর মত এমপি দরকার। ওনার মত এমপি জনগণের পাশে থাকলে এরকম অনেক কঠিন পরিস্থিতি, সমস্যা হাসিমুখে মোকাবেলা করা সম্ভব।
পরিশেষে সামাদ চৌধুরীর একটি বক্তব্য দিয়ে শেষ করবো। তিনি বলেছেন জনগণই আমার পরিবার। জনগণের সুখেদুঃখে তাঁদের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব। তাঁরা আমাকে ভোট দিয়ে তাঁদের খেদমত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাঁদের জন্যই আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছি। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমি তাঁদের পাশেই আছি, পাশেই থাকব।
স্যালুট হে এমপি। যুগ যুগ আপনি ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমাবাসীর হ্নদয়ে থাকবেন।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post