আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম


অনলাইন ডেস্কঃ টানা কয়েক দিন স্থিতিশীল থাকার পর হঠাৎ করে আবার দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে মসলাপণ্যটির দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম আবার বেড়েছে। এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে হালি পেঁয়াজ বপনে সময় লেগেছে। এ কারণে দেরিতে উঠছে। ফলে মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ কারণে দাম বাড়ছে।

অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম ধীরে ধীরে বেশ কমেছিল। দেশীয় নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ শুরু হওয়ার পরেই এই দাম কমতে শুরু করে। তবে গত চার দিন ধরে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম একযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ছিল। চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাইকারিতে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা একদিন আগেও ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।

দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় দাম বাড়ছে। গত সোমবার থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বেড়েছে। মোকামে পেঁয়াজ কমে আসছে। এ কারণে দাম বাড়ছে। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম কমবে বলে জানান তিনি।

সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম আবার দেড়গুণ বেড়েছে। প্রতিকেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় নেমেছিল। এখন তা দাম বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় উঠেছে। আমদানি করা পাকিস্তানি পেঁয়াজও একই হারে বেড়ে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চীনা পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধির পরে আমদানি পেঁয়াজ বাজারে বেচাকেনা কমে যায়। এর ফলে এখন বাজারে আমদানি পেঁয়াজ আসা কমেছে। এ অবস্থায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম হচ্ছে। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে নেপালি মসুর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা হয়েছে। বড় দানা ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও মাঝারি দানা মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে। আদার কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে মানভেদে ১২০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বেড়েই যাচ্ছে শুকনা মরিচের দাম। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে এখন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post