বিশ্ব সিলেট উৎসব-২০১৯; কলকাতায় সিলেটিদের মিলনমেলা


নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সুরমা-কুশিয়ারা বিধৌত পুণ্যভূমি সিলেটের লাখো মানুষ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও কোন অংশে কম যান না সিলেটিরা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাসরত সিলেটিদের আয়োজনে এবার  কলকাতার যোধপুরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘বিশ্ব সিলেট উৎসব-২০১৯’।

সাউথ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল মাঠে বসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত সিলাটিদের মিলনমেলা।

শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ব সিলেট উৎসবের উদ্বোধন করেন ছত্রিশগড়ের সাবেক গভর্নর শ্রী শেখর দত্ত।

উৎসবের প্রথমদিন আয়োজকদের পক্ষ থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। সিলেটের বহুজাতিক সংস্কৃতি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় নানা ধর্ম বর্ণের মানুষের একত্রে বসবাস সিলেটকে এক অনন্য উচ্চতা নিয়ে গেছে। আধ্যাত্মিক ও পর্যটন এলাকা সিলেট হযরত শাহজালাল (র.), শাহপরান (র.) আর শ্রী চৈতন্যের পুণ্যভূমি। এখানে জন্ম নেয়া অনেক গুণী সন্তান বিশ্ব সভায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সফলতার সাথে।

মেয়র আরিফ আরও বলেন, সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সবাইকে কাজ করতে হবে। সাউথ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশন পঁচিশ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছে। সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্য বিশ্ব সভায় প্রচার ও প্রসারে সাউথ কলকাতা সিলেট এসোসিয়েশনের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন সিসিক মেয়র।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার সিলেটে রবীন্দ্রনাথের সফরের শতবর্ষ উপলক্ষে ছিল বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানে এদিন গৌতম দে সুমনের নির্মিত ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ’ ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এদিন 'বাংলাদেশ সন্ধ্যা'  পর্বে সিলেট থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মজেন পশ্চিমবঙ্গের সিলাটিরা।

আয়োজক কর্তৃপক্ষের গণমাধ্যম সচিব রক্তিম দাশ বলেন, বিশ্ব সিলেট উৎসবের ধারাবাহিকতায় নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো এর পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আমাদের এবারের আয়োজন। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সিলাটি বংশোদ্ভূতরা এখানে যোগ দিয়েছেন। আমরা এই উৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করেছিলাম যার শিরোনাম ছিল ‘সিলেটে কবিগুরুর পদার্পণের শতবর্ষ’। এই সেমিনারে ঢাকা, কলকাতা ও সিলেটের গুণী আলোচকবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মের কাছে সিলেটের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সামাজিক গুরুত্বকে পরিচিত করিয়ে দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, উৎসবের এই তিনদিন সত্যিকার অর্থে আমাদের যোধপুর পার্ক স্কুলের এই প্রাঙ্গণটি হয়ে উঠেছে একটি মিনি সিলেট।

Post a Comment

Previous Post Next Post