কুলাউড়া আওয়ামীলীগের সভাপতি রেনু, সম্পাদক কামরুল


নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ ১৫ বছর পর আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটি খ্যাত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ১০ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতার মধ্যে দিয়ে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরআগে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুলাউড়া স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

কমিটিতে সভাপতি মনোনীত হয়েছেন সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু, সিনিয়র সহ-সভাপতি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান ও সাধারণ সম্পাদক দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম। সম্মানিত সদস্য মনোনীত হয়েছেন সদস্য সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল। কাউন্সিল অধিবেশনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নেছার আহমদ এমপি এই পাঁচ জন নেতার নাম ঘোষণা করেন এবং আগামী একমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।

কাউন্সিল অধিবেশনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. নেছার আহমদ এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিছবাউর রহমানের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবেক সিলেট সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক চীফ হুইপ মো. আব্দুস শহীদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাধা পদ দেব সজল, জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি/সম্পাদকসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সভাপতি পদে তিনজন প্রার্থী হলেও রফিকুল ইসলাম রেনুকে সমর্থন দেন অন্য দুই প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন ও এ কে এম সফি আহমদ সলমান।

সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ প্রার্থীর মধ্যে প্রথমে ৬জন জেলা কমিটির উপরে আস্থা অর্পণ করে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে অনেক আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমঝোতা হয়। এতে অপর ৪ প্রার্থী দলের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুক্তাদির তোফায়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান ফজলু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য শফিউল আলম শফি ও উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক সিপার উদ্দিন আহমদ তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিজেদের রাজনৈতিক অতীত কর্মকান্ডের ইতিহাস তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। ১১ প্রার্থীর মধ্যে ১০জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন আসম কামরুল ইসলাম।

Post a Comment

Previous Post Next Post