সৌদিতে হামলা বন্ধে হুতিদের প্রস্তাবকে জাতিসংঘের স্বাগত


অনলাইন ডেস্কঃ সৌদি আরবে সব ধরনের হামলা বন্ধে হুতি বিদ্রোহীদের একটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস। তিনি বলেন, এতে গত পাঁচ বছরের রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবে।

শক্রবার শান্তি উদ্যোগের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে হামলা স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন হুতি বিদ্রোহীরা। জবাবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদফতর থেকে এক বিবৃতিতে সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানে এই আকাঙ্ক্ষাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই দূত বলেন, হুতিদের এই উদ্যোগ আন্তরিকতার সঙ্গে বাস্তবায়ন যুদ্ধ বন্ধে একটি জোরালো বার্তা দিতে পারবে।

সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার এক সপ্তাহ পর হুতিরা এ প্রস্তাবটি দিয়েছে। হুতিরা ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।

হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ইরান অস্বীকার করেছে।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় হুতিদের শীর্ষ রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মাহদি আল মাশাত জানিয়েছেন, গোষ্ঠীটি সৌদি আরবের ওপর সব ধরনের হামলা বন্ধ করবে যদি সৌদি আরব ও তার মিত্ররা একই কাজ করে।

ইয়েমেনের সব পক্ষের প্রতি ব্যাপক জাতীয় পুনর্মিলনের জন্য কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গ্রিফিথসের দফতর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ দূত এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে এবং সহিংসতা, সামরিক সংঘাত বৃদ্ধি ও অর্থহীন বাগাড়ম্বর হ্রাসে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইয়েমেনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ লোককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এটি বিশ্বে মানুষের তৈরি করা সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২০১৫ সালে হুতিরা প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদিকে হটিয়ে রাজধানী সানা দখল করে নেয়। তার পর প্রতিবেশী সৌদি আরব ও তার আঞ্চলিক মিত্ররা হুতিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে দেশটির গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সংঘাতের বিস্তৃতি ঘটায়। 

Post a Comment

Previous Post Next Post