হয় মাদক ছাড়ো, না হয় মৌলভীবাজার ছাড়ো; পুলিশ সুপার


হিফজুর রহমান তুহিন: মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) বলেছেন, ‘আমার পুলিশ দিয়ে কোনো মানুষ অন্যায়ভাবে কোন মানুষকে হেনেস্থা করা হবে না। আমার পুলিশ দ্বারা যদি অন্যায়ভাবে জনগনের কোনো ক্ষতির খবর পাই; তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজন কষ্ট করে জেলা সদরে আমার কাছে অনেক সময় যেতে পারবে না । তাই থানা হবে জনগনের ভরসাস্থল, জনগনের সেবা কেন্দ্র। থানায় জিডি ও মামলা করতে একটি পয়সা যেন খরচ না হয়। খুব শিগগিরই প্রত্যেক থানায় অফিসারের রুমে সিসিটিভি থাকবে। সরকারি বেতনের টাকায় চলি সুতরাং আমার নামে কেউ জনগণের কাছ থেকে পয়সা নিতে পারবে না, এই ম্যাসেজটা সবার কাছে পৌঁছাবেন।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে কমলগঞ্জ থানার আয়োজনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও আসন্ন শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ সুপার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হয় মাদক ছাড়ো; না হয় মৌলভীবাজার ছাড়ো। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গোপনে মাদক সক্রান্ত সকল তথ্য কালেকশন করেছি । কেউ যদি থানাকে তথ্য দিতে সমস্যা মনে করেন তাহলে কষ্ট করে হলেও মৌলভীবাজার আমার অফিসে এসে আমাকে তথ্য দিয়ে যাবেন, আমি নিজে ব্যবস্হা নেব।

মৌলভীবাজার জেলার একটি গ্রামকে যদি সম্পন্নভাবে মাদক মুক্ত করে যেতে পারি তাহলে চাকুরী জীবনে সেটাও আমার একটা বড় প্রাপ্তি হবে। সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে জানিয়ে পুলিশ সুপার কমলগঞ্জের বিভিন্ন সুধীজনের মতামত ব্যক্ত করার প্রেক্ষিতে বলেন, ‘অপরাধীদের তালিকা করা হচ্ছে। আপরাধী যেই হোক সে অপরাধী। সে কোন দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। মাদকের তালিকা মোটামুটি শেষের পথে। তালিকা অনুযায়ী জনগণের সহায়তায় দ্রুত সময়ে অপরাধীদের সনাক্ত করা যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post