কুলাউড়ায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মেয়ের মৃত্যু; মা ও ছেলে হাসপাতালে !


স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিষ মেশানো খাবার খেয়ে এক প্রবাসীর মেয়ে মারা যায় এবং স্ত্রী ও ছেলে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন হাসপাতালে।
খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে প্রবাসীর মেয়ে ইমা আক্তার (১৭) নামে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। একই খাবার খেয়ে ওই ছাত্রীর মা ও বড় ভাই অসুস্থ অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শনিবার সকালে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হেলানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইমা স্থানীয় হিঙ্গাজিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত। সে ওই গ্রামের বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী আবদুর রহিমের মেয়ে।

পুলিশ, কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আবদুর রহিমের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৫) তাঁর দুই সন্তান ইমন মিয়া (২০) ও ইমাকে নিয়ে হেলানগর গ্রামেই থাকতেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনজন একসঙ্গে খাবার খান। এরপর হঠাৎ করে তিনজনই বমি করতে শুরু করেন। রাতেই স্বজনেরা তিনজনকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইমা চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। আজ সকাল আটটার দিকে ইমাকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তার। জাহানারা ও ইমনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক শনিবার রাতে বলেন, শুক্রবার রাতে হাসপাতালে আসার পর জাহানারা, ইমন ও ইমা বমি করছিল। সঙ্গে মাথাব্যথাও ছিল। তবে ইমা চিকিৎসা নিতে রাজি হয়নি। খাবারে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোন ধরনের বিষ ছিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না।
স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে প্রবাসী আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুছ শহীদ পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত ও শহীদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ইমার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এখনো পর্যন্ত কোন অভযোগ পাইনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post