কুলাউড়ার লালুবাঘার দাম ৪ লাখ টাকা


বিশেষ প্রতিনিধিঃ কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমতে শুরু করেছে গরু-ছাগলের হাট। আকর্ষণীয় বড় গরু নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও যেন কমতি নেই। এ আগ্রহের এবার হাটে ওঠার আগেই কয়েকটি গরু নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লালুবাঘা। যেমন নাম, তেমনি তার গায়ের রঙ। উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে এক বাড়ীতে ৩ বছর আগে জন্ম হয় লালু বাঘা এ গরুটি।

৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন পাবই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাথার উপর ঘুরছে ফ্যান। আদর
যত্নর কোনো কমতি নেই, লালুবাঘা নাম। লালূু বাঘাকে এক নজর দেখতে ও তার গায়ে হাত বুলাতে কৌতুহলী লোকজন বাড়িতে ভিড় জমান। লালু বাঘার মালিক মো. আব্দুল বারি জানান, ৩ বছর আগে লালুবাঘা গরুটি জন্ম দেয় তার বাসন্তী নামের গাভী। যত্নসহকারে এ লালুটিকে ৩ বছর লালন পালন করা হয়।

লালু বাঘার মায়ের নাম ছিল বাসন্তি। বাসন্তি লালুসহ দুইটি বাছুরের জন্ম দেয়। দুটির মধ্যে লালুবাঘা সবচেয়ে শক্তিশালী ও দীর্ঘকায়। উচ্চতায় পাঁচ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট, ওজন ১৭ মণ। কোরবানি উপলক্ষ্যে লালুকে বিক্রি করা হবে। ক্রেতাদের সঙ্গে দাম হাঁকা হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন ছোলা, গমের ভুসি, খেসারি, ভুট্টা, ধানের কুঁড়া, গাজর, আপেল, মালটা, কলা,  টমোটোসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার খাওয়ানো হয় লালুকে।

খামারের মালিক আব্দুল বারী জানান, ইতিমধ্যে লালুবাঘার দাম হাঁকা হয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন গরু কিনতে তার বাড়ীতে আসছেন। সঠিক দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছেন না। বাড়িতে বিক্রি করতে পারলে কিছু কম হলেও ভালো বলেন তিনি। তবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাইলে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান। আব্দুল বারি মোবাইল ০১৭৩৮০৪২১৫৪ নাম্বার যে কোন ক্রেতা যোগাযোগ করে লালুবাঘাকে খরিদ করতে পারবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post