ইমাদ উদ দীন:
আমি কোনদিনও ঢাকায় যাইনি। এখানকার মশার কামড়েই আমার ডেঙ্গু জ্বর। নিজের
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এমনটিই জানাচ্ছিলেন শিপা বেগম (১৮)। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা
বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলায় ডেঙ্গু (মহিলা) কর্ণারে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তার ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়। তিনি ওখানে ৬
দিন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শিপা জানান তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমীরিতে। তবে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাটএলাকার একটি বস্তিতে তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন। আর তিনি শহরের আবহাওয়া টাওয়ার এলাকার একটি বাসাতে কাজ করেন। শিপা জানান প্রায় সপ্তাহ দিন আগে বাসার মালিকের ছোট মেয়েকে নীচ তলায় বসে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। হঠাৎ মনে হল একটা মশা কামড় দিয়েছে। এরপর থেকে ঘাড় ব্যাথা ও জ্বর আসলে বাড়ির মালিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন। রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। হাসপাতালে শিপার পাশে থাকা তার মা রাবেয়া বেগম ও ভাঙ্গনি শারমিন আক্তার বলেন এখানে বেশির ভাগ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ওখানে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু শিপা কোনদিনও ঢাকায় যায়নি। এখানকার মশার কামড়েই তার ডেঙ্গু জ্বর। শিপা জানালেন গেল ২-৩ দিন থেকে এখন তিনি কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন। তার মত বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তি হন কমলগঞ্জ পতনঊষার এলাকার মালেক।
ঢাকায় না গেলেও তিনিও এখানকার মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান। ডেঙ্গু কর্ণার মহিলা কক্ষে শিপার পাশের বেডে চিকিৎসাধীন শ্রীমঙ্গলের সিন্দুর খান চা বাগানের পল্লবী বেগম (১৩)। তিনি প্রায় ১ বছর থেকে ঢাকার গুলশান-২ থাকেন। ওখান থেকেই তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডের বাসিন্দা রুহিন (১৮)। তিনি ঢাকায় ভার্সিটি কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। একই সাথে ভর্তি হন সেলিম আহমদ (২৮)। ভর্তি আছেন শ্রীমঙ্গলের রামনগরের কালাম মিয়া (২৮) ও সদর উপজেলার নলদাড়িয়ার ওয়াসিম আহমদ (৩৩) তারা দুজনেই প্রায় সপ্তাহ দিন থেকে ওখানে চিকিৎসাধীন।
তারা জানালেন এখানে বেশির ভাগই ১৮-৪০ বছর বয়সী লোকজনই ভর্তি হচ্ছেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলার কর্ণারে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য পুরুষ ও মহিলার পৃথক দুটি কক্ষ খোলা হয়েছে। রোগীরা জানাচ্ছেন এখন প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা ভর্তি হচ্ছেন। তবে ওই দু’টি কক্ষের মধ্যে দক্ষিণ পাশের মহিলা কক্ষের ভেতর খুবই নোংরা। তেলাপোকা আর তেলাপোকার মত ছোট পোকার দল রোগীর বেডে আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে।পাশের বার্থরুম গুলো থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন পরিবেশে সুস্থ মানুষই অসুস্থ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অসহায় রোগী ও তাদের স্বজনরা নাক চেপেই তা সহ্য করছেন।
সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ১৯ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন ওখানে চিকিৎসাধীন ১০ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় এপর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেসরকারী ভাবে এ পরিসংখ্যান অর্ধশতাধিক হবে বলে অনেকই ধারনা করছেন। কারন আক্রান্ত অনেকেই নানা ভাবে নিজ বাড়িতে কিংবা জেলার বাহিরেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে সিভিল সার্জন জানান স্থানীয় ভাবে দু’জন আক্রান্ত হওয়ায় এবিষয়ে তাদের নতুন করে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। সামনে ঈদে ঢাকা থেকে অনেকেই বাড়ি আসবেন সে বিষয়টিও মাথায় রেখে প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের। তিনি জানান ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগীই সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ তাঁর।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন সবার সহযোগিতায় এজেলায় আমরা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এখনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজেদের বাড়িঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। জেলা প্রশাসক সবাইকে সর্তক করে বলেন আমরা ইতিমধ্যে সবাইকে মাইকিং করে জানিয়েছি। এরপরও যদি কেউ নিজেদের বাড়িঘরের আঙ্গিনা অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন রাখেন তা হলে প্রচলিত আইননুযায়ী জরিমানা করা হবে।
শিপা জানান তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমীরিতে। তবে মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাটএলাকার একটি বস্তিতে তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন। আর তিনি শহরের আবহাওয়া টাওয়ার এলাকার একটি বাসাতে কাজ করেন। শিপা জানান প্রায় সপ্তাহ দিন আগে বাসার মালিকের ছোট মেয়েকে নীচ তলায় বসে ভাত খাওয়াচ্ছিলেন। হঠাৎ মনে হল একটা মশা কামড় দিয়েছে। এরপর থেকে ঘাড় ব্যাথা ও জ্বর আসলে বাড়ির মালিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন। রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গু জ্বর। হাসপাতালে শিপার পাশে থাকা তার মা রাবেয়া বেগম ও ভাঙ্গনি শারমিন আক্তার বলেন এখানে বেশির ভাগ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে ওখানে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু শিপা কোনদিনও ঢাকায় যায়নি। এখানকার মশার কামড়েই তার ডেঙ্গু জ্বর। শিপা জানালেন গেল ২-৩ দিন থেকে এখন তিনি কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন। তার মত বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তি হন কমলগঞ্জ পতনঊষার এলাকার মালেক।
ঢাকায় না গেলেও তিনিও এখানকার মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান। ডেঙ্গু কর্ণার মহিলা কক্ষে শিপার পাশের বেডে চিকিৎসাধীন শ্রীমঙ্গলের সিন্দুর খান চা বাগানের পল্লবী বেগম (১৩)। তিনি প্রায় ১ বছর থেকে ঢাকার গুলশান-২ থাকেন। ওখান থেকেই তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আসার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন শ্রীমঙ্গল কলেজ রোডের বাসিন্দা রুহিন (১৮)। তিনি ঢাকায় ভার্সিটি কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। একই সাথে ভর্তি হন সেলিম আহমদ (২৮)। ভর্তি আছেন শ্রীমঙ্গলের রামনগরের কালাম মিয়া (২৮) ও সদর উপজেলার নলদাড়িয়ার ওয়াসিম আহমদ (৩৩) তারা দুজনেই প্রায় সপ্তাহ দিন থেকে ওখানে চিকিৎসাধীন।
তারা জানালেন এখানে বেশির ভাগই ১৮-৪০ বছর বয়সী লোকজনই ভর্তি হচ্ছেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলার কর্ণারে ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য পুরুষ ও মহিলার পৃথক দুটি কক্ষ খোলা হয়েছে। রোগীরা জানাচ্ছেন এখন প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তরা ভর্তি হচ্ছেন। তবে ওই দু’টি কক্ষের মধ্যে দক্ষিণ পাশের মহিলা কক্ষের ভেতর খুবই নোংরা। তেলাপোকা আর তেলাপোকার মত ছোট পোকার দল রোগীর বেডে আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে।পাশের বার্থরুম গুলো থেকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন পরিবেশে সুস্থ মানুষই অসুস্থ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অসহায় রোগী ও তাদের স্বজনরা নাক চেপেই তা সহ্য করছেন।
সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ১৯ জুলাই থেকে ২ আগষ্ট দুপুর পর্যন্ত ২৭ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন ওখানে চিকিৎসাধীন ১০ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় এপর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বেসরকারী ভাবে এ পরিসংখ্যান অর্ধশতাধিক হবে বলে অনেকই ধারনা করছেন। কারন আক্রান্ত অনেকেই নানা ভাবে নিজ বাড়িতে কিংবা জেলার বাহিরেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন। মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির চৌধুরী বলেন ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। মৌলভীবাজার জেলায় ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তবে সিভিল সার্জন জানান স্থানীয় ভাবে দু’জন আক্রান্ত হওয়ায় এবিষয়ে তাদের নতুন করে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। সামনে ঈদে ঢাকা থেকে অনেকেই বাড়ি আসবেন সে বিষয়টিও মাথায় রেখে প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের। তিনি জানান ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগীই সুস্থ হয়ে ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সর্তক থাকার পরামর্শ তাঁর।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন সবার সহযোগিতায় এজেলায় আমরা ডেঙ্গুর ভয়াবহতা এখনো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজেদের বাড়িঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। জেলা প্রশাসক সবাইকে সর্তক করে বলেন আমরা ইতিমধ্যে সবাইকে মাইকিং করে জানিয়েছি। এরপরও যদি কেউ নিজেদের বাড়িঘরের আঙ্গিনা অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্ন রাখেন তা হলে প্রচলিত আইননুযায়ী জরিমানা করা হবে।