আগামী মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে চায় ইসি

অনলাইন ডেস্ক: সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্ট দেশে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড সরবরাহ করতে চায় ইসি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন কেবল সিঙ্গাপুর সরকারের অনুমোদন দেওয়া বাকি। তারা অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো।

মো. আলমগীর বলেন, সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সংখ্যা কম। কাছের দেশ। তাই এখানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এরপর আমরা মধ্যপ্রাচের দিকে যাবো। এরইমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা সৌদি আরবে এ বিষয়ে সম্ভাবতা যাচাই করে এসেছেন। সেখানে অবস্থিত প্রবাসী, দূতাবাসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক আগ্রহের কথা জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আইন পরীক্ষা করে দেখেছি। কোথাও সাংঘর্ষিক অবস্থা নেই। আমরা আজকের বৈঠকে নীতিমালা চূড়ান্ত করেছি। এজন্য আমাদের বিধিমালাও সংশোধন করতে হবে। এটা আমরা শিগগিরই করে ফেলবো।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসীদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে নীতিমালাই কেবল বাকি আছে। অন্যান্য প্রায় সব কার্যক্রম আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ব্রিটেন, সৌদি আবরে এরইমধ্যে সম্ভাবতা যাচাই শেষ হয়েছে।

ইসির এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. আবদুল বাতেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, প্রবাসীদের এনআইডি দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে। যারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে বসানো ডেস্ক থেকে এ সংক্রান্ত সহায়তা পাবেন। নীতিমালা হয়ে গেলেই এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা এনআইডি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার পর প্রবাসেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছি। এখানকার যে প্রস্তুতিগুলো সেগুলো সম্পন্ন হয়েছে। অনুমতির জন্য একটি চিঠি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, একাজে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এটা একেকটা দেশে একেক রকম। প্রবাসীদের ভোটার করতে ফরম-২ তে কিছুপরিবর্তন আনতে হচ্ছে। এটি চূড়ান্ত হলে বিধিমালায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, সেটি করে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবো। একটি নীতিমালাও আমরা করছি। সেটি একটি জেনেটিক নীতিমালা হবে। একেক দেশে একেক রকমের চ্যালেঞ্জ, আমরা হয়তো প্রত্যেকটা দেশের জন্য আলাদা আলাদা ইন্সট্রাকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে করতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post