দুর্নীতির প্রশ্নে সরল বিশ্বাস কী, পরিষ্কার করুন: দুদক চেয়ারম্যানকে কাদের


অনলাইন ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের সরল বিশ্বাসে বড় ভুলও অপরাধ নয়- দুদক চেয়ারম্যানের এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান দুর্নীতি প্রশ্নে সরল বিশ্বাস বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার হতে হবে। তবে এটিকে অন্যভাবে দেখার উপায় নেই।

শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করাপশন ইজ করাপশন (দুর্নীতি মানে দুর্নীতি)। এর দ্বিতীয় কোনো ব্যাখ্যা নেই। দুর্নীতির আলাদা কোনো সংজ্ঞা নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। তবে কোথাও বেশি কোথাও কম। কিছু দুর্নীতি হচ্ছে পলিটিক্যালি মোটিভিটেড (রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত) হচ্ছে। কোনো নেতাকে যদি কেউ দেখতে না পারে, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ছাপটা লাগিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, পেনাল কোড (সিআরপিসি) অনুযায়ী- সরল বিশ্বাসে কৃতকর্ম অপরাধ নয়। কিন্তু এখানে শর্ত আছে- আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, কাজটি সরল বিশ্বাসেই করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, স্বাভাবিকভাবে প্রতিটির ক্ষেত্রে ব্যক্তির চেয়ে প্রতিষ্ঠান অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। আমরা সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আজ দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

মেগাপ্রকল্পের নামে লুটপাট করছে সরকার- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তো কোনো দিন উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের রোল মডেলের কী বুঝবেন ফখরুল সাহেবরা? উনারা তো কালো চশমা পরেন। এ জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post