সাড়ে ৩ হাজার ফুটবল মাঠের সমান সোলার প্ল্যান্ট মরক্কোতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুধু একটি প্রকল্প বললে ভুল হবে, সৌরশক্তিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সবচেয়ে বড় নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাওয়ার প্ল্যান্ট বানিয়েছে উত্তর আফ্রিকান দেশ মরক্কো। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় সিটি উরজাজেটে তিন হাজার একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে ইতোমধ্যেই এককভাবে গড়ে উঠেছে বৃহত্তম এই সোলার ফার্ম।

‘উরজাজেট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্টেশন’, যাকে ‘দ্য নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স’ও বলা হয়ে থাকে; সেই বৃহৎ প্রকল্প থেকে এতো পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে যে, প্ল্যান্টটির বিদুৎশক্তিতে এককভাবে ইউরোপের রাজধানী শহর প্রাগের সমান একটি অঞ্চল চলবে। এছাড়া মরক্কেশের আকারের মতো দুইটি শহর চলবে এর নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে। একইসঙ্গে কম হলেও এক মিলিয়ন মানুষ পাবেন এর বিদ্যুৎ সুবিধা।বৃহত্তম সোলার ফার্ম দ্য নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স, ছবি: সংগৃহীতসাহারা মরভূমির প্রবেশপথে অবস্থিত তিন হাজার ৫০০টি ফুটবল মাঠের সমান এই সোলার ফার্মটি কোনো রকম প্রতিকূলতা সৃষ্টি না করেই ৫৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এতে সাত লাখ ৬০ হাজার টন কার্বন নির্গমন থেকে রক্ষা পাবে। ফলে অন্যান্য প্ল্যান্টের মতো এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এছাড়া সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন একটি অধিক লাভজনক প্রকল্প- বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট ছাড়াও অন্তত যারা এটির ছোট ছোট প্যানেল ব্যবহার করেছেন, তাদের সবারই জানা।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, সৌর বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনে মরক্কো বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী টার্গেট নিয়েছে। দেশটি ২০২০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস থেকে মোট চাহিদার ৪২ শতাংশ সরবরাহ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া ইতোমধ্যে এই নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স থেকে ৩৫ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য হওয়ার কারণে দেশটিও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।বৃহত্তম সোলার ফার্ম দ্য নূর উরজাজেট কমপ্লেক্স, ছবি: সংগৃহীতআফ্রিকার সবচেয়ে লম্বা প্ল্যান্টটির ২৪৩ মিটার টাওয়ার ধারাবাহিকভাবে মলটেন সল্ট তৈরি করে, যা মেলটেড হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মরক্কোর নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি কোম্পানি এজেন্সি ফর সাসটেনেবল এনার্জির (এমএএসইএন) সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়াসির বাদিহ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মরক্কো একটি উদীয়মান দেশ। এছাড়া বিশ্বে ২০১০ সালের তুলনায় এখন বিদ্যুৎ চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তাই ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা জীবাশ্ম জ্বালানি এড়িয়ে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তিতে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি হতে চাই এবং মরক্কো সেদিকে যাচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post