পুলিশের কব্জায় "স্ট্যাপ সাগর "


স্টাফ রিপোর্টারঃ  শ্রীমঙ্গলের আলোচিত সেই স্ট্যাপ সাগর ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে শ্রীমঙ্গল পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান সার্কেল (শ্রীমঙ্গল – কমলগঞ্জ) এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স ৮ জুলাই (সোমবার) হবিগঞ্জ জেলাধীন মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নোহাটি এলাকা তার এক আত্মিয়ের বাড়ি থেকে আটক করে বলে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছেন। এসময় সাগরের সাথে দ্বীপ সাগর নামে তার অপর এক সহযোগীকেও আটক করেছে পুলিশ।
এর পর তাকে রাত ৯ ঘটিকার দিকে শ্রীমঙ্গলে নিয়ে আসে হয়। 



সাগর ও তার সহযোগী দ্বীপেরর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতেই শ্রীমঙ্গল শহরের গুহ রোডস্থ বনশ্রী নার্সারী থেকে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। 




এ অভিযানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান সার্কেলসহ শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালেক ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন।


গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় পৌর শহরের কলেজ সড়কের তৃষান হেয়ার ফ্যাশন সেলুনের সামনে চাপাতি দিয়ে কোপায় নটরডেম কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া মেধাবী ছাত্র অন্তরকে। তাকে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।




শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসীন মিয়া মধুর ভাতিজা নটরডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমানী হোসেন অন্তর(১৮) কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার পর থেকে কিশোর সাগর আলোচনায় আসে। এর পর থেকে সাগর শ্রীমঙ্গলে ‘স্টেপ সাগর’ নামেই পরিচিত লাভ করে।




আহত ইমানী হোসেন অন্তরকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তার বড় ভাই মোশারফ হোসেন রাজ সাগরসহ, শহরতলির বিরাইমপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে ইমন মিয়া এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা করেন। এর পর সাগর ও তার সহযোগীরা পলাতক ছিল ।




শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সাগর ২৭ জুনের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। গোয়েন্দা তৎপরতা ও প্রযুক্তির সহায়তায় অবশেষে সোমবার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া নোহাটি এলাকা সাগরের এক আত্মিয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে মাধবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

Post a Comment

Previous Post Next Post