মনু নদীর পানি কমলেও আতঙ্ক এখনো কাটেনি

বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাহাড়ি ও ভারত সীমান্ত বেষ্টিত মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীতে পানি কিছুটা কমে গেলেও উজান ও ভারত থেকে আসা ঢলে যে কোন সময় ভয়াবহ বন্যা হতে পারে মৌলভীবাজার শহরসহ মনু নদ এলাকায়। এটির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা জানিয়েছে, এখন বৃষ্টির পুরো মৌসুম। বাংলাদেশ অংশে সৃষ্ট বৃষ্টিতে এ জেলায় পানি বৃদ্ধি পায় না। যেসব পানি মনু নদ দিয়ে প্রবল আকারে প্রবাহিত হয় তার সবটুকু আসে ভারত থেকে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার সীমান্ত থেকে ৪৮ কিলোমিটিার পূর্বে “নলকাটা ব্যারেজ” দিয়ে বাংলাদেশে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তারা এ ব্যারেজ খুলে দেয়ায় এতেই এ কদিন জলমগ্ন থাকে মনু নদী।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার ১৬ জুন মনু নদ এর রেলওয়ে ব্রীজে পানি বিপদ সীমার ২০৫ সেন্টিমিটার  নীচে, ধলাই বিপদ সীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নীচে ও কুশিয়ারা নদীতে বিপদ সীমার ১১৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গত দু-তিন দিনে পানি কিছুটা কমে গেলেও এখানকার স্থানীয়রা ঢলের আশংকায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পাড় করছেন। উল্যেখ্য, গেল বছর গভীর রাত্রে উজান ও ভারত থেকে আসা ঢলে মনু নদের মৌলভীবাজার শহরের বাড়ইকোনা ও রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে। এসময় মৌলভীবাজার শহরের প্লাবিত হয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও বড়হাট,ধরকাপন ও মনুমুখ এলাকা প্লাবিত হয়ে সহস্রাধিক মানুষের গবাদি পশুসহ মূল্যবান মালামাল খুয়ে যায়।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী  রোববার বলেন, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদ এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, কেবল ভারত থেকে আসা ঢলে মনু নদে বন্যার সৃষ্টি হয়।  তিনি আরো বলেন, আগামী ২২ জুন ভারতের সাথে আমাদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে উজানের ঢলের পানি কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেটি নিয়ে ভারতের সাথে আমরা কথা বলবো। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট উত্তর-পূর্বাঞ্চরের  প্রধান প্রকৌশলী আমাদের তরফ থেকে বৈঠকে যোগ দেবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post