সংসদের জন্য ৩২৮ কোটি ২২ লাখ টাকার বরাদ্দ

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের জন্য ৩২৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে সংসদ কমিশন। গত বছরের তুলনায় সংসদের বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে ৯.৭১ শতাংশ।

এবারের বাজেটে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ভাতা ও আপ্যায়ন খরচ বাড়ানোর পাশাপাশি সংসদ সচিবালয়ের উপ-সচিবদের গাড়ির জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরফলে সংসদ সচিবালয়ের নিজস্ব জনবল কাঠামোর ২২ জন উপ-সচিব বা সমমর্যাদার কর্মকর্তা গাড়ি বা গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত বিশেষ ঋণ পাবেন।
এছাড়া সংসদের জন্য নতুন ১০টি পাজেরো গাড়ি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের অব্যয়িত ১২ কোটি টাকা ও আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত ১০ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হবে।

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদ সচিবালয় কমিশনের ৩০তম বৈঠকে ২০১৯- ২০২০ অর্থ বছরের জন্য উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে সংসদ সচিবালয়ের বাজেটে এসব বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে উপনেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্থফা কামাল, আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বৈঠকে অংশনেন। চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে যোগদেন।

বৈঠক শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের জন্য নতুন কয়েকটি পদ সৃষ্টির পাশাপাশি সংসদ সচিবালয়ে পদোন্নতি জট খোলা হয়েছে। সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন সরকারের উপসচিব ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তারা সরকারি গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা পেলেও সংসদের কর্মকর্তারা এতদিন তা পেতেন না।

সংসদ কমিশন অনুমোদন করায় এখন সেই সুবিধা পাবেন সংসদের নিজস্ব কর্মকর্তারাও। তবে সংসদ সচিবালয়ে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের তাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয় থেকে এই সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, সংসদ সচিবালয়ে ১০টি জিপ গাড়িগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সকল গাড়ি মেরামতের যে খরচ হয়, তা অনেক বেশি। তাই নতুন করে ১০টি জিপ গাড়ি কেনার কথা বলা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাংবাৎসরিক ভাতা ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫১০ টাকা করা হয়েছে। আপ্যায়ন খরচ ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। আর সংসদীয় কমিটির সভাপতির দপ্তরের আপ্যায়ন ভাতা ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্টদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য সংসদ সচিবালয় কমিশন বৈঠকে প্রতি বছর বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে তা মূল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে সংসদ লেক সংস্কারের অগ্রগতির ওপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো: শহীদ উল্লা খন্দকার। সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন বিভাগে নতুন পদ সৃষ্টিসহ পদোন্নতির বিষয় উপস্থাপন করেন সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান।

একইসঙ্গে বিগত ২৯তম সংসদ সচিবালয় কমিশন বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদনের পেশ করা হয়। কমিটি সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, মেরামতসহ সংসদ ভবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুপারিশ করে। বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post