'মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখোশ নিষিদ্ধ, সন্ধ্যার পর কোনো অনুষ্ঠান নয়'


অনলাইন ডেস্কঃ নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রায় যেকোন ধরনের মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো ধরণের অনুষ্ঠান করা যাবে না।

এর আগে, পহেলা বৈশাখের দিন বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে উৎসবের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা, ব্যাগ বহন করা, ভুভুজেলা, বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।

গত ৩১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে গণমাধ্যমে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল সকালে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সকল ধরনের অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নববর্ষের দিন ঢাবি ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোন ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোন ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

নববর্ষের দিন জনসাধারণকে বিকল্প পথ দিয়ে ক্যাম্পাসে আসার ও বের হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়, পহেলা বৈশাখে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হওয়ার পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির সামনের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post