গণপ্রতিবাদ বার্ষিকীতে সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের ঢল, নিহত ৪


অনলাইন ডেস্কঃ গাজা-ইসরাইল সীমান্তে গত বছর ব্যাপক গণপ্রতিবাদের (গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন) আয়োজন করা হয়েছিল। সেই গণপ্রতিবাদের প্রথম বার্ষিকী পালন করতে শনিবার সকালে একই সীমান্তে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমবেত হন।

এ সময় গাজা উপত্যকায় সীমান্ত বেড়ার কাছে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার মেডিকেল কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে খবর রয়টার্সের।

নিহতদের মধ্যে ইসরাইলি সেনাদের আঘাতে ১৭ বছর বয়সী তিন কিশোর নিহত হয়। অপর আরেকজন প্রধান র‌্যালির ঘণ্টাখানেক আগে নিহত হয় বলে জানান মেডিকেল কর্মকর্তারা।

তবে প্রতিবাদ বার্ষিকী উপলক্ষে বড় ধরনের সংঘাত সৃষ্টির আশঙ্কায় শনিবারের এই র‌্যালিটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ছোট ছিল।

তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

তবে গণজমায়েতের বিষয়ে ইসরাইলি সেনারা বলেন, সেখানে প্রায় ৪০ হাজারের মতো প্রতিবাদকারী ছিল, যাদের অনেকের কাছে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক ছিল।

ইসরাইলি সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস বলেন, গতকাল প্রতিবাদকারী বেশি থাকলেও তাদের উদ্দামতা কম ছিল।

গত বছরের ৩০ মার্চ নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে গাজায় বিক্ষোভ শুরু হলে ইসরাইলি স্নাইপারদের গুলিতে এ পর্যন্ত ২৫৯ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় গত এক বছরে ৪০ শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। এতে উত্তেজনা প্রশমনে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ইসরাইলের দখল করে নিয়ে যাওয়া নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে প্রতি সপ্তাহে সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ফিলিস্তিনিরা।

১৯৪০ দশকে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিষ্ঠালগ্নে এসব ফিলিস্তিনি পরিবারকে তাদের বসতভিটা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল।

এ ছাড়া গাজায় গত এক দশকের ইসরাইলি অবরোধ উঠিয়ে নেয়ারও দাবি জানিয়ে আসছেন বিক্ষোভকারীরা। অবরোধের কারণে ২০ লাখ লোকের বসতি গাজার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে।

জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪০ শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত আরও তিন হাজার শিশুকে হাতপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। কেউ কেউ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছে।

শিশুদের যাতে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো না হয়, সেই আবেদন রেখেছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে- ভবিষ্যৎ ও ঝুঁকির কথা বিবেচনায় না রেখেই শিশুদের ব্যবহার করা কিংবা সহিংসতায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করা শিশু অধিকারের লঙ্ঘন।

Post a Comment

Previous Post Next Post