হাকালুকি হাওরে পাখি কমেছে ব্যাপক হারে


নিউজ ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে গত দুই বছরের তুলনায় পাখি কমেছে ব্যাপক হারে। ২৬-২৭ জানুয়ারি হাকালুকি হাওরে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব ও ও আইইউসিএন বাংলাদেশ হাকালুকির ৪০টি বিলে পাখি শুমারি করে। এতে সর্বমোট ৫১ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৯৩১টি জলচর পাখি পাওয়া গেছে।

তবে গত দুই বছরের তুলনায় পাখির সংখ্যা কমে এসেছে বলে বার্ড ক্লাব সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের তথ্য অনুসারে ২০১৮ ও ২০১৭ সালে হাকালুকি হাওরে পাখির সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪৫ হাজার ১০০ ও ৫৮ হাজার ২৮১। এ বছর সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৯৩১টিতে।

তারা জানান, হুমকির মুখে আছে এমন ছয় প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে। সেগুলো হলো, মহাবিপন্ন বেয়ারের-ভুতিহাঁস, সংকটাপন্ন পাতি-ভুতিহাঁস ও বড় গুটি ঈগল, এবং প্রায়-সংকটাপন্ন মরচেরঙ ভুতিহাঁস, ফুলুরি হাঁস ও কালামাথা কাস্তেচরা।

পাখি সমৃদ্ধ বিলের মধ্যে নাগুয়া ধলিয়া বিল প্রথম (৮৬৭৬টি পাখি) এবং চ্যাতলা বিল ২য় (৫৩২৭টি পাখি)। জলচর পাখিদের মধ্যে মাত্র ৪০৫টি সৈকত পাখি ছিল।

শুমারির সময় হাকালুকির পরোতি, বালিজুড়ি, নাগুয়া ধলিয়া বিলে বিষটোপ দিয়ে মারা পাখি পেয়েছে শুমারিতে অংশগ্রহণকারী দল। বিষটোপ দিয়ে পাখি শিকারের বিষয়ে শুমারিতে অংশ নেয়া তারেক অনু জানান, বিষটোপ দিয়ে মারা বুনোহাঁস যারা খায়, তাদের শরীরেও বিষ প্রবেশ করে, ক্যান্সার ঘটায়।

শুমারিতে অংশ নিয়েছেন ডক্টর পল থমসন, ইনাম আল হক, মোহাম্মদ ফয়সাল, ওমর শাহাদাত, সাকিব আহমেদ, বশীর আহমেদ ও তারেক অনু।

হাওয়া বন্যা, কালাপানি, রঞ্চি, দুধাই, গড়কুড়ি, চোকিয়া, উজান-তরুল, ফুট, হিংগাউজুড়ি, নাগাঁও, লরিবাঈ, তল্লার বিল, কাংলি, কুড়ি, চেনাউড়া, পিংলা, পরোটি, আগদের বিল, চেতলা, নামা-তরুল, নাগাঁও-ধুলিয়া, মাইছলা-ডাক, চন্দর, মালাম, ফুয়ালা, পলোভাঙা, হাওড় খাল, কইর-কণা, মোয়াইজুড়ি, জল্লা, কুকুরডুবি, বালিজুড়ি, বালিকুড়ি, মাইছলা, গড়শিকোণা, চোলা, পদ্মা, কাটুয়া, তেকোণা, মেদা, বায়া, গজুয়া, হারামডিঙা, গোয়ালজুড়- হাকালুকি হাওড়ের এই ৪০টি বিলে পাখি শুমারি চলে।

Post a Comment

Previous Post Next Post