ভারতে মহাত্মা গান্ধী, চীনে মাও সে তুঙ, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু - সুলতান মনসুর


এস আলম সুমন:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া উপজেলা) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সবার শ্লোগান ছিল জয়বাংলা। ৭১ এর সময় কারো সাথে দেখা হলে ‘জয় বাংলা’ বলে হাত মেলানো হতো। তাই জয়বাংলা শ্লোগান রণধ্বনি। তবে জয়বাংলা শ্লোগান প্রথমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলো। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। ভারতে যেমন মহাত্মা গান্ধী, চীনে মাও সে তুঙ, তেমনি বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু। যিনি বাংলাদেশের স্থপতি যা কেউ অস্মীকার করতে পারবেন না। মুজিব কোট যে কেউ পারতে পারে। আমি মুজিবকোট পরবো, কিংবা পরবোনা সেটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। কেউ আমাকে বলে (মুজিব কোট) পরাতে পারবেনা আবার খুলাতে পারবেনা।


জয়বাংলা শ্লোগান, বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কোট একক কোনো দলের নয়। একটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থে সেগুলো ব্যবহার করে থাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছিলেন। জয়বাংলা শ্লোগান, বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কোট এগুলো কারও বক্তিগত সম্পদও নয়।

তিনি শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় কুলাউড়া পৌর শহরের বিছরাকান্দি এলাকায় একটি বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমালোচনার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সভার শুরুতে সুলতান মনসুর বলেন, গত ৫ বছর ধরে ভোটারবিহীন নির্বাচনের সরকার দেশ চালাচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। বাক্-স্বাধীনতা নেই। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নিতি হচ্ছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। আবার টাকা পাচারকারীদের দলীয় মনোনয়নও দেওয়া হচ্ছে।  দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। মানুষ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। তাই ড. কামাল হোসেনের নের্তৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছি। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র রক্ষা করা হবে। 


সুলতান বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এ আসনে (মৌলভীবাজার-২) আমাকে একক প্রার্থী মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু, কেন্দ্র থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এর পর ১২টি বছর কেটে গেছে। ওই সময়ে রাজনৈতিকভাবে কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ পাইনি কিংবা দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলেও যোগ দিইনি। জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছি।’

স্থানীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে এই ১২টি বছর প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় থাকিনি কারণ এখানে (কুলাউড়া) রাজনীতিতে আমি সক্রিয় থাকলে রাজনৈতিক কোন্দল সৃষ্টি হতো। সেটি আমি চাইনি।

মতবিনিময় সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী আব্বাস খান, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সোহেল।

Post a Comment

Previous Post Next Post