বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ভোট চায় যুক্তরাষ্ট্র


অনলাইন ডেস্কঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে একটি প্রস্তাব গত বৃহস্পতিবার গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবটি এনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নবম ডিস্ট্রিক্ট থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান উইলিয়াম আর কিটিং, কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো, এলিয়ট ইঙ্গেল, ব্র্যাড শারমেন, স্টিভ শ্যাবট ও জেরি কনোলি।

প্রস্তাবের প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উৎসাহিত করতে প্রতিনিধিসভার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধকে গুরুত্ব দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি প্রতিনিধিসভার আহ্বান স্থান পেয়েছে।

তৃতীয় দফায় আসন্ন নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ও এতে সব বাংলাদেশির স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং ভোটারদের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের ও বিচারিক কর্তৃপক্ষগুলোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিসভার আহ্বান স্থান পেয়েছে।

চতুর্থ ও শেষ দফায় কষ্ট সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রশংসা রয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটকে মনুষ্যসৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ফলেই এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট অংশে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা, পরিবেশ-পরিস্থিতিগত চাপ, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, শরণার্থী সংকট, গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় চ্যালেঞ্জসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বৈধ নির্বাচনগুলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, নিরাপত্তা ও অভিগম্যতার মাধ্যমে মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করে।

শক্তিশালী গণতন্ত্রগুলো বিশ্বব্যাপী অধিকতর ভালো বাণিজ্যিক অংশীদার, নতুন বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নততর স্বাস্থ্য সেবা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে উৎসাহিত করে বলেও প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হামলা বাংলাদেশের জনগণের আত্মত্যাগ এবং মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের অবমাননা।

Post a Comment

Previous Post Next Post