বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পুরাতন মামলার পাশাপাশি একাধিক নতুন মামলা। এসব মামলায় চলছে গ্রেপ্তার।
পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে অফিস ও যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেয়া
হচ্ছে মামলা। মুঠোফোন ও বাড়িতে গিয়ে দেয়া হচ্ছে হুমকি। নির্বাচনকে সামনে
রেখে এমন জানা-অজানা মামলায় নাজেহাল এ জেলার বিএনপি ও ২০দলীয় জোটের
নেতাকর্মীরা।
প্রতিনিয়ত
এমন হামলা-মামলার ভয় আর গ্রেপ্তার এড়াতে ঘরছাড়া ধানের শীষের কর্মীরা। এখন
ভোটের মাঠে এমন আতঙ্ক মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে। ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনকে
সামনে রেখে পরিকল্পিত ভাবে চলছে মামলা ও গ্রেপ্তার- এমন অভিযোগ ২০ দলীয়
জোটের নেতাকর্মীদের।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের অভিযোগ পুরনো মামলা ছাড়াও গায়েবি মামলা ও নতুন ভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে ঢালাও ভাবে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে।
তাই গ্রেপ্তার আতংক নিয়ে দিনে ভোটের মাঠে থাকলেও পুলিশি ধরপাকড় এড়াতে রাতে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন তারা। তাছাড়া প্রশাসনের লোকজন প্রতিনিয়ত নানাভাবে তাদের গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীরা ঢালাওভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে প্রচার-প্রচারণা চালালেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বরং উল্টো পুলিশ তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তারা জানান, গেল কয়েক দিন থেকে নৌকা মার্কার পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে নিজের কার্যালয় কিংবা যানবাহন ভাঙচুর অথবা অগ্নিসংযোগ করে ঢালাওভাবে ধানের শীষের পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর মামলা দিচ্ছেন। অথচ আমরা নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে থানায় আমাদের মামলা নেয়া হচ্ছে না। উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলেন পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তার আচরণে শান্তিপ্রিয় এই এলাকা এখন আতংকের জনপদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা মুঠোফোনে বলেন গেল ৩-৪ দিন থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের এমন গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকায় আমাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে কাজ করতে পারছেন না। সরকার দলের লোকজন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঠ ছাড়া করছেন। তারা বলেন, ভোটের মাঠে ধানের শীষের জোয়ার দেখেই প্রতিপক্ষের সরকারি দলের লোকজন এখন মামলা হামলায় আমাদের নাজেহাল করতে চাইছেন। তারা বলেন জনগণের মনের অবস্থা বুঝে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে এমনটি আস্থা ও জোর দাবি আমাদের। জেলার ৭টি উপজেলার বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ জানান গ্রেপ্তার আতংকে তারা ভোটের মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না।
কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান কুলাউড়ার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের একাধিকবারের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কমর উদ্দিন কমরু ও জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাছুম রেজাকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নেতাকর্মীরা বলেন শুধুমাত্র ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তড়িঘড়ি করে নতুন ভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জনপ্রিয় এই দুই চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে। একই ভাবে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজ উদ্দিনকেও আটক করা হয়েছে। বাদ যাচ্চেনা অন্য উপজেলার নেতাকর্মীরাও। বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন সম্প্রতি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া নামক স্থানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে উল্টো ধানের শীষের মিছিলে হামলা করে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ৪৮ জন নেতাকর্মীসহ আরো ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।
এই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান মিজান বলেন মামলা হামলা আর গ্রেপ্তারের ভয়ে তাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে নির্বাচনী কাজ করতে পারছেন না। ৪টি আসনে একই অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এ জেলাকে যাতে অস্থিতিশীল করা না হয় এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয় সে জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের অভিযোগ পুরনো মামলা ছাড়াও গায়েবি মামলা ও নতুন ভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে ঢালাও ভাবে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে।
তাই গ্রেপ্তার আতংক নিয়ে দিনে ভোটের মাঠে থাকলেও পুলিশি ধরপাকড় এড়াতে রাতে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন তারা। তাছাড়া প্রশাসনের লোকজন প্রতিনিয়ত নানাভাবে তাদের গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের নেতাকর্মীরা ঢালাওভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করে প্রচার-প্রচারণা চালালেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বরং উল্টো পুলিশ তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তারা জানান, গেল কয়েক দিন থেকে নৌকা মার্কার পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে নিজের কার্যালয় কিংবা যানবাহন ভাঙচুর অথবা অগ্নিসংযোগ করে ঢালাওভাবে ধানের শীষের পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর মামলা দিচ্ছেন। অথচ আমরা নির্যাতিত হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে থানায় আমাদের মামলা নেয়া হচ্ছে না। উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলেন পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী কর্মকর্তার আচরণে শান্তিপ্রিয় এই এলাকা এখন আতংকের জনপদে পরিণত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতা মুঠোফোনে বলেন গেল ৩-৪ দিন থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের এমন গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকায় আমাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে কাজ করতে পারছেন না। সরকার দলের লোকজন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে একের পর এক মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঠ ছাড়া করছেন। তারা বলেন, ভোটের মাঠে ধানের শীষের জোয়ার দেখেই প্রতিপক্ষের সরকারি দলের লোকজন এখন মামলা হামলায় আমাদের নাজেহাল করতে চাইছেন। তারা বলেন জনগণের মনের অবস্থা বুঝে পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবে এমনটি আস্থা ও জোর দাবি আমাদের। জেলার ৭টি উপজেলার বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ জানান গ্রেপ্তার আতংকে তারা ভোটের মাঠে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন না।
কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান কুলাউড়ার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের একাধিকবারের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা কমর উদ্দিন কমরু ও জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাছুম রেজাকে সম্প্রতি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। নেতাকর্মীরা বলেন শুধুমাত্র ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তড়িঘড়ি করে নতুন ভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জনপ্রিয় এই দুই চেয়ারম্যানকে আটক করা হয়েছে। একই ভাবে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজ উদ্দিনকেও আটক করা হয়েছে। বাদ যাচ্চেনা অন্য উপজেলার নেতাকর্মীরাও। বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন সম্প্রতি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া নামক স্থানে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে উল্টো ধানের শীষের মিছিলে হামলা করে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ৪৮ জন নেতাকর্মীসহ আরো ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।
এই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান মিজান বলেন মামলা হামলা আর গ্রেপ্তারের ভয়ে তাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে নির্বাচনী কাজ করতে পারছেন না। ৪টি আসনে একই অবস্থা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এ জেলাকে যাতে অস্থিতিশীল করা না হয় এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয় সে জন্য প্রশাসনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
