অনলাইন ডেস্কঃ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৫ হাজার
কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে
এসব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে
পুলিশ। তৈরি করা হয়েছে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা ছক। ছকে পুলিশের পক্ষ থেকে
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র উল্লেখ না করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত
করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এ হিসাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে মোট
ভোট কেন্দ্রের প্রায় ৬৪ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি ৩৫ শতাংশ সাধারণ কেন্দ্র।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোট কেন্দ্রসহ
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের সোয়া লাখ সদস্য সরাসরি মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব
পালন করবেন। এ ছাড়া রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভিত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং
ফোর্স হিসেবেও কাজ করবেন। পুলিশ সদর দফতরের সূত্রগুলো বলছেন, ৩০ ডিসেম্বর
অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা সারা দেশে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোট কেন্দ্রে
ভোট নেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত
করা হয়েছে। বাকি ১৪ হাজার ৩৭২টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা
হয়েছে। আবার এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম এলাকায় ১ হাজার ৬৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ
হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা ছকে ঢাকা বিভাগের ৯ হাজার ৮৭২টি
কেন্দ্রের মধ্যে ৫ হাজার ৬৭৯টিই গুরুত্বপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৯৫
জন পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ বিভাগের ২ হাজার ৭১১টি কেন্দ্রের ১
হাজার ৭৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ। রাজশাহী বিভাগের ৫ হাজার ৯১টি কেন্দ্রের ২ হাজার
৯৭৫টি গুরুত্বপূর্ণ। রংপুর বিভাগের ৪ হাজার ৩৪৬টি কেন্দ্রের ২ হাজার ৯৮৭টি
গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৩৮৯টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৪২৪টি
গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা বিভাগের ৪ হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩ হাজার ৫৯টি
গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল বিভাগের ২ হাজার ৫২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৮২৩টি
গুরুত্বপূর্ণ ও সিলেট বিভাগের ২ হাজার ৪৭৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার
৪৯৫টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি থাকবে। এজন্য পুলিশের স্থানীয় ইউনিটগুলোর
চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন
করবেন।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দুই ফরম্যাটের মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সমন্বয় সেল এবং অন্যটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সমন্বয় কমিটি। সেলে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার শীর্ষ আট পুলিশ কর্মকর্তা সারা দেশকে চারটি জোনে ভাগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন। অন্যদিকে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। জানা যায়, ভোট কেন্দ্রগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘সমতল এলাকা’ ও ‘বিশেষ এলাকা’। দুটিতেই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে কেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী বা তার নিকটাত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে, আবার গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলা হতে পারে কিংবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো গোষ্ঠী ভোট কেন্দ্রে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে— এমন সব কেন্দ্রকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ ছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান ও ভোট কেন্দ্রের স্থাপনাকেও এ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ এলাকার কেন্দ্র হিসেবে দুর্গম এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাতায়াতে সহজ হবে না এমন এলাকার কেন্দ্রগুলোও রয়েছে।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দুই ফরম্যাটের মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সমন্বয় সেল এবং অন্যটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সমন্বয় কমিটি। সেলে থাকা অতিরিক্ত আইজিপি পদমর্যাদার শীর্ষ আট পুলিশ কর্মকর্তা সারা দেশকে চারটি জোনে ভাগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন। অন্যদিকে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত ছয় সদস্যের কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। জানা যায়, ভোট কেন্দ্রগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘সমতল এলাকা’ ও ‘বিশেষ এলাকা’। দুটিতেই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে কেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী বা তার নিকটাত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে, আবার গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলা হতে পারে কিংবা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কোনো গোষ্ঠী ভোট কেন্দ্রে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে— এমন সব কেন্দ্রকে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করেছে। এ ছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান ও ভোট কেন্দ্রের স্থাপনাকেও এ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ এলাকার কেন্দ্র হিসেবে দুর্গম এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যাতায়াতে সহজ হবে না এমন এলাকার কেন্দ্রগুলোও রয়েছে।
পুলিশ
সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ
নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের
নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি
গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায়ও পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা
নিয়েছে। সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন
