মোঃ আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটুঃ ৬ ডিসেম্বর কুলাউড়া মুক্ত দিবস। এই এক অনন্য সারাটি দিন। যেদিন টি ছিলো লাল সূর্য'র আলোয়-আলোকিত সারাটি কুলাউড়া'র চতুর পাশ। রাতের আকাশে তারায় তারায় ভরে গিয়েছিলো আর চাঁদের আলোয় ভরে ছিলো সব দিক। সকল অন্ধকার কে পেছনে ফেলে আলোয় ভরে গিয়েছিলো সারা কুলাউড়া।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ৭ ই মার্চ এর ভাষন এর পরই মূলত যুদ্ধের ঘোষনা হয়ে গিয়েছিলো। ২৬ মার্চ এর কালো রাত। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যুদ্ধ আরম্ভ হলেও মূলত ৭ মে হায়েনাদের অভিযান শুরু হয় কুলাউড়ায়। মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া ঢোকার পথে কাপুয়া ব্রিজে গতিরোধ করতে বীর সৈনিক মুজাহিদ সদস্য জয়চণ্ডী ইউনিয়নের আছকির মিয়া ও হাবিব উদ্দিন। পাকিস্তানী ও দু’দলের মধ্যে গোলাগুলি চলতে থাকে।এতে তারা দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। এরাই কুলাউড়া থানার স্বাধীনতা প্রথম শহীদ। পাকি সেনা ও মুখোশ ধারী বাংলাদেশী নামের পাকি দোসরদের সাহায্য নিয়ে প্রতিনিয়ত হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ডিসেম্বরের শুরুতেই ভারত বাংলাদেশ যৌথ চুক্তি হলে, যুদ্ধের দামামা যেনো চুড়ান্ত রুপ নেয়। সেই চুড়ান্ত রুপের প্রদর্শন হয় ওই হায়েনাদের বিরুদ্ধে আর এতেই সেই হত্যাযজ্ঞের শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং, অনেক কষ্টের পর, অনেক ত্যাগ এর পর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর ৭ ই মার্চ এর ভাষন এর পরই মূলত যুদ্ধের ঘোষনা হয়ে গিয়েছিলো। ২৬ মার্চ এর কালো রাত। যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যুদ্ধ আরম্ভ হলেও মূলত ৭ মে হায়েনাদের অভিযান শুরু হয় কুলাউড়ায়। মৌলভীবাজার থেকে কুলাউড়া ঢোকার পথে কাপুয়া ব্রিজে গতিরোধ করতে বীর সৈনিক মুজাহিদ সদস্য জয়চণ্ডী ইউনিয়নের আছকির মিয়া ও হাবিব উদ্দিন। পাকিস্তানী ও দু’দলের মধ্যে গোলাগুলি চলতে থাকে।এতে তারা দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। এরাই কুলাউড়া থানার স্বাধীনতা প্রথম শহীদ। পাকি সেনা ও মুখোশ ধারী বাংলাদেশী নামের পাকি দোসরদের সাহায্য নিয়ে প্রতিনিয়ত হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ডিসেম্বরের শুরুতেই ভারত বাংলাদেশ যৌথ চুক্তি হলে, যুদ্ধের দামামা যেনো চুড়ান্ত রুপ নেয়। সেই চুড়ান্ত রুপের প্রদর্শন হয় ওই হায়েনাদের বিরুদ্ধে আর এতেই সেই হত্যাযজ্ঞের শেষ হয় ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং, অনেক কষ্টের পর, অনেক ত্যাগ এর পর।
আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম আক্তার আলী চৌধুরী আত্তর, আব্দুল জব্বার, গিয়াস উদ্দিন, আব্দুল মতিন, আলাউদ্দিন চৌধুরী, মোসাদুর রহমান, লাল মিয়া, আজহার আলী, মুকিম উদ্দিন, আজর আলী, আব্দুর রাজ্জাক সহ অনেক বীরমুক্তিযোদ্ধার ও নাম জানা না জানা অনেক শহীদ, বীরাঙ্গনার অবদানে এই ৬ ডিসেম্বর পাওয়া।
আজকের দিনে তথা ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তে সেই সব মুক্তিকামীদের মাঝে যারা বেচে আছেন, তাদের জানাই লাল সালাম ও লাল গোলাপ শুভেচ্ছা আর যারা বেচে নেই তাদের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
- মোঃ আনিসুর রহমান চৌধুরী লিটু,
কুলাউড়া'র কৃতি সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আক্তার আলী চৌধুরী আত্তর এর সন্তান।
