মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস


নিউজ ডেস্কঃ কুলাউড়া উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন গঠিত। এ আসনে প্রধান আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে চলছে অন্যরকম লড়াই।

কারণ এ আসনে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন বিএনপির দলছুট নেতা এমএম শাহীন। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছেন আওয়ামী লীগের দলছুট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।

আসনটিতে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মনসুরকে বিএনপির নেতাকর্মীরা সাদরে গ্রহণ করায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে।

সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আওয়ামী লীগ ছেড়ে গেলেও আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা প্রকাশ্যেই ধানের শীষের পক্ষে নেমেছেন। তাদের একজন শরীফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ুব আলী।

অন্যদিকে সাবেক বিএনপি নেতা শাহীনের সঙ্গেও বিএনপির একাধিক নেতা যুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত বাচ্চু ও কাদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সালাম।

এ আসনের চিত্রও অন্য আসনের চেয়ে অন্যরকম। এবারের নির্বাচনে অন্যান্য আসনে বিএনপির পোস্টার ব্যানার খুব একটা চোখে পড়েনি।

কিন্তু এ আসনে পোস্টার, ব্যানারের প্রচারে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী প্রায় সমানে সমান। তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দুই প্রার্থীরই অসংখ্য পোস্টার বিভিন্ন দেয়াল ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সাঁটানো হয়েছে।

তবে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুরের মামলায় বিএনপির প্রায় ৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ইতিমধ্যেই প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে নামতে ভয় পাচ্ছেন।

কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান খান বলেন, আমরা মারাত্মক চাপের মধ্যে আছি। মাঠে নামলেই পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

তবে বিএনপি নেতাদের এসব অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সফি আহমেদ সলমান বলেন, নৌকার জোয়ার দেখে বিএনপির নেতারা নানা মিথ্যে অভিযোগ দিচ্ছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post