অনলাইন ডেস্কঃ
সাড়ে তিন ঘণ্টার সংলাপে প্রধানমন্ত্রী কেবল সভা-সমাবেশের বিষয়ে ভালো কথা
বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এ
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষ
কোন সমাধান আমরা পাইনি।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে বেইলি রোডে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কামাল।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা তিন ঘণ্টা সেখানে (গণভবন) ছিলাম। আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, অভিযোগের কথা, সেগুলো তুলে ধরেছি। সবার কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী লম্বা বক্তৃতা দিলেন। বিশেষ কোনো সমাধান আমরা পাইনি। কেবল সভা-সমাবেশের বিষয়েই তিনি একটি ভালো কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের মনের কথা উনি (প্রধানমন্ত্রী) জেনেছেন, আমরাও উনার মনের অবস্থা জানতে পেরেছি।
এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মো. মনসুরসহ অন্যরা।
এরপর ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গণফোরামের নির্বাহী সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার আহ্বান জানান।
সুব্রত চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সাড়ে তিন ঘণ্টা ছিলাম। শুরুতেই ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সূচনা বক্তব্য রেখেছেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোটের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এরপর ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারাও আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রেখেছেন।
সুব্রত চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা থাকবে না। এসব সভা-সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলগুলোর কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়েরের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। তারা বলেছেন, মামলাগুলোর তালিকা দেন, আমরা বিবেচনা করব। সংলাপে আমাদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবি-দাওয়া নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
ওই ব্রিফিংয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগেই মন্তব্য করেছি, সংলাপে আমি সন্তুষ্ট নই।
সংলাপে কী পেলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক দিনে সব পাওয়া যায় না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ৬ নভেম্বর (রাজশাহী)।’ তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমি সন্তুষ্ট না। সব সময় কী, সব হয় নাকি?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন শরিক দল বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের দিকে মাইক্রোফোন বাড়িয়ে দেন। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেছেন, “বিষয়টি আইনি ব্যাপার”।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘সাত দফা দাবি তুলে ধরেছি। দাবি মানা, না মানা সরকারের ব্যাপার। তবে দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে।’ এই কথা বলে ড. কামাল হোসেনে উদ্দেশে রব বলেন, ‘ঠিক আছে না স্যার? তখন ড. কামাল হোসেন ‘হ্যাঁ’ সূচক সম্পতি দিয়ে দ্রুত ব্রিফিং শেষ করেন
এরআগে সংলাপ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে; মির্জা ফখরুল বলেছিলেন সংলাপে তিনি সন্তুষ্ট নন।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে বেইলি রোডে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ড. কামাল।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা তিন ঘণ্টা সেখানে (গণভবন) ছিলাম। আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, অভিযোগের কথা, সেগুলো তুলে ধরেছি। সবার কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী লম্বা বক্তৃতা দিলেন। বিশেষ কোনো সমাধান আমরা পাইনি। কেবল সভা-সমাবেশের বিষয়েই তিনি একটি ভালো কথা বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের মনের কথা উনি (প্রধানমন্ত্রী) জেনেছেন, আমরাও উনার মনের অবস্থা জানতে পেরেছি।
এসময় তার পাশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মো. মনসুরসহ অন্যরা।
এরপর ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গণফোরামের নির্বাহী সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার আহ্বান জানান।
সুব্রত চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা সাড়ে তিন ঘণ্টা ছিলাম। শুরুতেই ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সূচনা বক্তব্য রেখেছেন। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোটের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এরপর ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারাও আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রেখেছেন।
সুব্রত চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের বক্তব্য শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা থাকবে না। এসব সভা-সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলগুলোর কর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়েরের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। তারা বলেছেন, মামলাগুলোর তালিকা দেন, আমরা বিবেচনা করব। সংলাপে আমাদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবি-দাওয়া নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।
ওই ব্রিফিংয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগেই মন্তব্য করেছি, সংলাপে আমি সন্তুষ্ট নই।
সংলাপে কী পেলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক দিনে সব পাওয়া যায় না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ৬ নভেম্বর (রাজশাহী)।’ তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, আমি সন্তুষ্ট না। সব সময় কী, সব হয় নাকি?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন শরিক দল বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের দিকে মাইক্রোফোন বাড়িয়ে দেন। এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেছেন, “বিষয়টি আইনি ব্যাপার”।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘সাত দফা দাবি তুলে ধরেছি। দাবি মানা, না মানা সরকারের ব্যাপার। তবে দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে।’ এই কথা বলে ড. কামাল হোসেনে উদ্দেশে রব বলেন, ‘ঠিক আছে না স্যার? তখন ড. কামাল হোসেন ‘হ্যাঁ’ সূচক সম্পতি দিয়ে দ্রুত ব্রিফিং শেষ করেন
এরআগে সংলাপ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে; মির্জা ফখরুল বলেছিলেন সংলাপে তিনি সন্তুষ্ট নন।