গভীরে সমুদ্রে ‘দুঃস্বপ্নের বাগান’


অনলাইন ডেস্কঃ প্রায় তিন বছর আগে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে এক আশ্চর্য অঞ্চলের সন্ধান পায় এক গবেষক দল। দলের সদস্যরা লক্ষ করেন, সমুদ্রের তলায় এক দীর্ঘ এলাকা জুড়ে অবস্থান করছে মূর্তিমান দুঃস্বপ্ন। অতি ভয়ঙ্কর অসংখ্য অবয়ব মাইলের পরে মাইল জুড়ে অবস্থান করছে। গবেষকরা এই অঞ্চলটির নাম দিয়েছেন ‘দুঃস্বপ্নের বাগান’।

প্রশান্ত মহাসাগরের এই বিস্ময়ের পিছনে কী রয়েছে, তাই নিয়ে শুরু হয় অনুসন্ধান। দেখা যায়, ৪.৫ মাইল ব্যাপী এই ‘বাগান’-এর এই সব অপার্থিব স্থাপত্য আসলে কাচের, যা বস্তুত লাভা-নির্মিত। ভূবৈজ্ঞানিকরা এই বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যান। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টিয়ার ইন আর্থ সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে জানা গেল এই ‘বাগান’-এর স্বরূপ।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘লাইভসায়েন্স.কম’-এর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই ‘বাগান’ আবিষ্কারের মাত্র কয়েক মাস আগে এক আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে উঠে আসে লাভা। তাঁদের মতে, এই অগ্ন্যুৎপাত ছিল বিপুল। প্যাসিফিক মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ল্যাবরেটরির গবেষকদের মতে, এই বিস্ফোরণ এখনও পর্যন্ত জানা গভীরতম অঞ্চলের বিস্ফোরণ।

গরম লাভা ঠান্ডা পানির স্পর্শে এসে ক্রিস্টালে পরিণতি পাওয়ার আগেই শক্ত হয়ে যায়। আর সেই কারণেই সৃষ্টি হয় এইসব উদ্ভট অবয়বের। আপাতত এই ‘দুঃস্বপ্নের বাগান’ই বিশ্বের গভীরতম অগ্ন্যুৎপাতের উদাহরণ।

গবেষক দলের প্রধান বিল চাডউইক জানিয়েছেন, গত ৩০ বছরে ৪০টি ডুবো অগ্নেয়গিরির সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে, প্রশান্ত মহাসাগরের এটি তাদের মধ্যে বৃহত্তম। সাগর পানির ৪,৫০০ মিটার গভীরে অবস্থানরত ‘দুঃস্বপ্নের বাগান’ ঘিরে আপাতত বিজ্ঞানীদের কৌতূহল তুঙ্গে।

Post a Comment

Previous Post Next Post