আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৭৯তম জন্মদিন আজ

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৭৯তম জন্মদিন আজ


অনলাইন ডেস্কঃ বই ভালোবাসতে শিখিয়েছেন তিনি। অগণিত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন জ্ঞান অন্বেষণে। সারা দেশ তাকে জানে মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে। এই মানুষটি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আজ সবার প্রিয় ‘সায়ীদ স্যার’র ৭৯তম জন্মদিন। প্রতিবারের মতো এবারও নানা রং আর সৌরভের ফুল নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীরা তারই প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে তাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। সন্ধ্যায় কাটা হবে কেক। ১৯৩৯ সালের ২৫ জুলাই তিনি কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে অধ্যাপক সায়ীদ প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত মূলত বইপড়া কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি বাংলাদেশের হাজার হাজার স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীকে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া থানার কামারগাতি গ্রামে। তার বাবা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষক। মায়ের নাম করিমুন্নেসা। ১৯৬১ সালে শিক্ষকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগ দেয়ার পর সিলেট মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ ও ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ) শিক্ষকতা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। ঢাকা কলেজেই তিনি তার শিক্ষকতা জীবনের স্বর্ণযুগ অতিবাহিত করেন।

বাংলাদেশে টেলিভিশনের সূচনালগ্ন থেকে বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় তিনি পথিকৃৎ ও অন্যতম সফল ব্যক্তিত্ব। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, নাটক, অনুবাদ, জার্নাল, জীবনীমূলক বই ইত্যাদি মিলিয়ে তার গ্রন্থভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। ডেঙ্গু প্রতিরোধ আন্দোলন, পরিবেশ দূষণবিরোধী আন্দোলনসহ নানা সামাজিক আন্দোলনে তিনি সব সময় সামনের কাতারে। কর্মময় জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, র‌্যামন ম্যাগসাসে, জাতীয় টেলিভিশনসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post