পাঁচ বছরে আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে: ইউনিসেফ

পাঁচ বছরে আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে: ইউনিসেফ


অনলাইন ডেস্কঃ যুদ্ধে জর্জরিত আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ কমেছে। রবিবার এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই চর্চা বন্ধ করতে আরো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। খবর বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার।ইউনিসেফকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহের পরিমাণ কমেছে। তবে এখনো সেখানে বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেক বেশি। আদতে গত পাঁচ বছরে  আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ কমেছে মাত্র ১০ শতাংশ। 

আফগানিস্তানের শ্রম মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ মিলে পাঁচটি প্রদেশের গ্রাম ও শহরে বাল্যবিবাহের ওপর গবেষণা চালিয়ে এক রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। উল্লেখ্য, এটাই হচ্ছে আফগানিস্তানের জন্য এধরনের প্রথম গবেষণাপত্র। এক বিবৃতিতে শ্রম মন্ত্রণালয় বলেছে, এই গবেষণা অনন্য। এটা কেবল আগের গবেষণাগুলো থেকে তথ্যই নেয় না, পাশাপাশি আফগানিস্তানের বাল্যবিবাহের সমস্যাটি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে।আফগানিস্তানের নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি, দারিদ্রতা, প্রচলিত বিশ্বাস ও সামাজিক চর্চার কারণেই বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে থাকে সেদেশের মেয়েরা। 

এছাড়া দেখা গেছে, ৭৮ শতাংশ ক্ষেত্রে বাবা’রাই সন্তানদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আর ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, বিয়ের আগে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা উচিত।যদিও অনেকের মধ্যে বাল্যবিবাহ বিশেষ করে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সে বিষয়ে খুব সামান্য ধারণাই আছে।ইউনিসেফ কর্মকর্তা আদেল খদর বলেন, কিছু কিছু পরিবার মেয়ে শিশুদের স্কুলে পাঠাতে শুরু করাই বাল্যবিবাহ হ্রাসের অন্যতম প্রধান কারণ।

শ্রমমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিবাহ মানবাধিকারের সাংঘাতিক লঙ্ঘন। এটা শিশুদের কাছ থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শৈশব কেড়ে নেয়। তিনি আরো বলেন, যেহেতু সকল বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য সেরাটাই চান, সেহেতু আমাদের একসঙ্গে মিলে বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post