অনলাইন ডেস্কঃ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী এবং সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়কে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শোকজ করেছে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়।
মঙ্গলবার তাদের নামে শোকজ চিঠি ইস্যু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারী সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তারপরও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে মুর্শেদ আহমদ এবং হিমাংশু লাল রায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন বলে জানা যায়। যাতে করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আর এই কারণেই তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আলীমুজ্জামান। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁরা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাশাপাশি চাকরিবিধিও ভঙ্গ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায়ের সভাপতিত্বে এক সভায় অধ্যক্ষ মুর্শেদ আহমদসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এ আলোচনা সভা হয়। তাঁরা স্বাস্থ্য বিভাগে সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট চান। পরে তাঁরা নৌকা মার্কায় কামরানকে ভোট দেওয়ার জন্য চৌহাট্টা ও ওসমানী মেডিকেল এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেন। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেত্রী নাজরা চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সহকারী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম গৌছ আহমদ চৌধুরী।
এদিকে, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শো-ডাউন করায় সিসিক নির্বাচনের মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকেও শোকজ করেছেন নির্বাচন অফিস। তাকেও আগামী ৩ দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়ছে।
