ট্রাস্টের অধীনে আসছে কমিউনিটি ক্লিনিক


অনলাইন ডেস্কঃ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে একটি ট্রাস্টের অধীনে আনার লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ট্রাস্টের তহবিল ব্যবহার করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে সমন্বিত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা এবং অন্যান্য হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই এ আইনের লক্ষ্য।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮’র খসড়া মন্ত্রিসভায় আলোচনার পর কিছু সংশোধনী সাপেক্ষে এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এখন একটি প্রকল্পের আওতায় হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চলছে। আইনটি পাস হলে ক্লিনিকগুলো ট্রাস্টের আওতায় চলে আসবে।

সচিব বলেন, সারাদেশেই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবায় অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাস্থ্যসেবার যে অগ্রগতি তা কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্যই সাধিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্লিনিকগুলো থেকে সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা ৬২ কোটি ৫৭ লাখ। দেশে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, ‘আরো এক হাজার ২৯টি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’

সচিব বলেন, ‘আইনে কর্মীদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্রাচুইটি, অবসর ভাতা প্রদান— এসব সুবিধা রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, একটি প্রবিধানের মাধ্যমে এগুলো নিশ্চিত করা হবে। তারা ট্রাস্টের আওতায় থাকবেন। তবে সরকারি যে সুবিধাগুলো আছে সেগুলো সবই তারা পাবেন।’ ট্রাস্টে যে কেউ অনুদান দিতে পারবেন জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, ‘সরকারি থোক বরাদ্দ থাকবে, অনুদান থাকবে। পাশাপাশি বেসরকারিভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, স্থানীয় সামাজিক সংগঠন বা ব্যক্তি বিশেষ এখানে দান-অনুদান প্রদান করতে পারবেন।’ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘ট্রাস্টে একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী সভাপতি হবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post