অনলাইন ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে জার্মানিতে ভ্রমণ করছিলেন এক নারী। কিন্তু, সন্তান সম্ভাবা ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হয়, তুরস্কে যাত্রাবিরতির সময়। এরপর তিনি একা একাই একটি হোটেল কক্ষে সন্তান প্রসব করেন। আর এ সময় ইউটিউব টিউটোরিয়ালের সহযোগিতা নেন তিনি। ইতোমধ্যে এ ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী ওই নারীর নাম টিয়া ফ্রিম্যান। ওই নারী গত জানুয়ারি মাসে বুঝতে পারেন, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তখনই টিয়া ফ্রিম্যানের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ৩ মাস হয়েছিল।
ওই নারী বলেন, তিনি ভেবেছিলেন জার্মানি যেতে কোনো সমস্যা হবে না তার। সেখানে তার বন্ধু জ্যাকব জনসনের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
আর টিয়া ফ্রিম্যান এই ভ্রমণ কোনোভাবেই বাতিল করতে চাচ্ছিলেন না। এর কারণ হচ্ছে, এসব ভ্রমণের বিমান টিকিট অনেক ব্যয়বহুল। এ কারণেই টিয়া এই ভ্রমণ বাতিল করতে চাননি।
এ বছরের গত ৭ মার্চ টিয়া ফ্রিম্যান জার্মানির উদ্দেশে রওনা হন। ভ্রমণকালে তুরস্কে যাত্রাবিরতির সময় তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। এরপর তিনি একটি হোটেল কক্ষে কারো কোনো প্রকার সাহায্য ছাড়াই ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান জন্ম দেন। তিনি অবশ্য ইউটিউব টিউটোরিয়ালের থেকে কিছু টা সাহায্য নিয়েছেন।
টিয়া ফ্রিম্যান এই অবিশ্বাস্য ঘটনা নিয়ে তার টুইটারে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেন। তিনি সেখানে বেশকিছু ছবিও পোস্ট করেন। এরপরই সেই ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) টিয়ার বন্ধু জ্যাকবও তার টুইটারে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন।
অবাক করার মতো হলেও টিয়া নাকি সন্তান প্রসবের পর বাথরুমও পরিষ্কার করেন। এরপর তিনি তার ছেলে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান। তারপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন।
সন্তান জন্ম দেওয়ার পর দিন টিয়া এয়ারপোর্টে যান। তিনি কীভাবে তার সন্তানকে নিয়ে জার্মানি যেতে পারবেন, এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন টিয়া।
স্থানীয় কর্মকর্তারা ও টার্কিশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা তার এ ঘটনা শুনে তাকে সহযোগিতা করেন।
এ ঘটনাটি গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্টের শিরোনাম করা হয়। এরপর টিয়া ফ্রিম্যানকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে নেয়া হয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে তিনি তার সন্তানের জন্য জন্ম সনদ ও পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তার গর্ভে জন্ম নেয়া ছেলে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে জাভিয়ার অ্যাটা ফ্রিম্যান। এরপর মা-ছেলে কে হাসপাতালে নেয়া হয়। এর দুই সপ্তাহ পর সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন মা টিয়া ফ্রিম্যান।
