কুয়েত প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ



অনলাইন ডেস্কঃ প্রবাসীরা যে টাকা আয় করে থাকেন তা দেশে পাঠাতে গেলে ট্যাক্স দিতে হবে- এমন একটি আইন করতে যাচ্ছে কুয়েত। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক উঠেছে- এটা আসলে কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে।

আর্থিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান কুয়েত ফিন্যান্সিয়াল সেন্টারের একটি সহযোগী গবেষণা সংস্থা বলছে, রেমিট্যান্স ট্যাক্স নিয়ে কুয়েত সরকার যে বিল অনুমোদন করতে যাচ্ছে তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। এমনকি এটা বাস্তবায়ন হবে কিনা তাও ভেবে দেখা হচ্ছে।

অবশ্য এরই মধ্যে এই বিল কুয়েতের সংসদীয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের আয়ের উপর ভিত্তি করেই এই ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে। সে অনুযায়ী, ৯৯ কুয়েতি দিনারে ১ শতাংশ এবং ৫০০ কুয়েতি দিনারে ৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিতে হবে প্রবাসীদের। এই ট্যাক্স আরোপিত হলে সেখানে থাকা বাংলাদেশিদেরও টাকা পাঠাতে ওই দেশের সরকারকে অতিরিক্ত ট্যাক্স গুণতে হবে।

১৯৭৬ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া শুরু করে কুয়েত। যা চালু ছিল ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার শ্রমিককে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে আরও প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেয়া হয়। সম্প্রতি কুয়েত বাংলাদেশ থেকে খাদেম ভিসায় শ্রমিক নেয়া নিষিদ্ধ করে। তবে অন্য সব ধরনের ভিসায় লোক নেয়ার সুযোগ আগের মতই বহাল আছে।

রয়টার্স বলছে, ফিন্যান্সিয়াল কমিটি এই ট্যাক্স আরোপ অনুমোদন দিলেও আইন প্রণেতারা বিরোধীতা করছেন। যদি এই খসড়া বিল অনুমোদিত হয়, তবে এটি সরকারের কাছে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রিপরিষদের কাছে গৃহীত হলে তা আইন আকারে কার্যকর হবে। তখন কুয়েত হবে উপসাগরীয় ৬ দেশের মধ্যে রেমিট্যান্সের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা প্রথম দেশ।

রেমিট্যান্সের ওপর ট্যাক্স আরোপ নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে, তখন কারা এই ট্যাক্স দেবে তা এখনও শনাক্ত হয়নি। এছাড়া রেমিট্যান্স বলতে আসলে কী বোঝানো হচ্ছে- সেটাও ঠিক হয়নি। এর মধ্যে আয় বা ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ অন্তর্ভূক্ত হবে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

সমালোচকরা আশঙ্কা করে বলছেন, এই ট্যাক্স চালু করা হলে তাতে কুয়েতকে অন্যভাবে মাশুল গুণতে হবে। প্রবাসীরা তখন অবৈধ চ্যানেলে অর্থ দেশে পাঠাবে; যা হিসেবের মধ্যে আসবে না। অর্থাৎ ট্যাক্স চালু প্রবাসীদের অবৈধভাবে টাকা পাঠাতে উস্কে দেবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post