অনলাইন ডেস্কঃ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা’র বিএস-২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নেপালের ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন’।
প্রতিবেদনে বিমান বিধ্বস্তের সময় ‘২টা ১৯ মিনিট ১০ সেকেন্ড’ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং শেষের ২৫ সেকেন্ডে টাওয়ার আর ককপিটের মধ্যে কোনো কার্যকর যোগাযোগ ছিল না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের ‘কমিউনিকেশনস’ প্যারায় বলা হয়েছে, ‘দুপুর ২টা ১৭ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড পর্যন্ত ককপিট ও টাওয়ার কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক ছিল কিন্তু ২টা ১৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের পর থেকে টাওয়ার আর ককপিটের মধ্যে কার্যকর কোনো যোগাযোগ ছিল না।’ এর ২৫ সেকেন্ড পরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিমানটি বিধ্বস্তের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে। তদন্ত অনুযায়ী উদ্ধারকর্মীরা ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে এসে ৪টি বড় ফোম টেন্ডার, ১টি মাঝারি সাইজের ফোম টেন্ডার ও দুই ট্যাংকি পানি ব্যবহার করে।
তবুও বিধ্বস্ত বিমানটির ‘অধিকাংশ অংশ পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে’ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে- বিমানটি থেকে উদ্ধারকৃত যন্ত্রপাতি, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ব্ল্যাক বক্সসহ কয়েকটি আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে কানাডা পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা’র বিএস-২১১ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। আহত হন আরও ১০ বাংলাদেশি
