শহীদ মিনারে কবি বেলাল চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা


অনলাইন ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহে  সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে কবির মরদেহবাহী গাড়ি শহীদ মিনারে আসে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষ এ শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।

কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বেলাল চৌধুরী বটবৃক্ষ ছিলেন। বাংলার মাটি-মানুষ ও আকাশ নিয়ে লিখতেন তিনি। তার লেখায় এসব ফুটে উঠেছে। কলকাতায়ও তার জনপ্রিয়তা ছিল। তার তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

কবি বেলাল চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে অবস্থান করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন। দেশ বরেণ্য কবিদের পাশি সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ আত্মীয়-স্বজন ও কবির বন্ধুরাসহ কবিতাপ্রেমি মানুষজন উপস্থিত রয়েছেন।

কবি বেলালের ভাতিজা রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী জানান, পল্টন বাসা থেকে শহীদ মিনারে  শ্রদ্ধা নিবেদনের শেষে ফেনীর শর্শদীতে বেলাল চৌধুরীকে দাফন করা হবে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ যোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টা পর্যন্ত এ শ্রদ্ধা নিবেদন চলবে।  তিনি আরো জানান, একটি ফ্রিজিং গাড়িতে কবি বেলালের মৃতদেহ বাসায় রাখা ছিল। 

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ষাট দশকের অন্যতম এই কবি। কবি বেলাল চৌধুরী ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরোটিজসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে কবি মূত্রনালির সংক্রমণজনিত ‘সেফটিসেমিয়া’ রোগেও ভুগছিলেন।

তার উল্লেখযোগ্য কবিতাবইয়ের মধ্যে আছে ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’, ‘বত্রিশ নম্বর’। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও। ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর তার জন্ম।

Post a Comment

Previous Post Next Post