সাপ আতংকে বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক!


অনলাইন ডেস্কঃ বিষধর সাপ আতংকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সব ধরনের কার্যক্রম। গত দুই মাস ধরে ক্লিনিকের ভেতরে ১০-১২টি করে সাপ দেখা গেলেও হঠাৎ করে গত রোববার ক্লিনিকটির ভেতর ১৫০ সাপের দেখা মিলে। সে সময় উৎসুক জনতা সাপগুলো মেরে ফেলে। ওই দিন সিমা নামের এক রোগীকেও সাপে দংশন করে।

এ ঘটনায় সোমবার ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য সেবা নিতে আসা রোগীদের অন্য স্থানে সেবা প্রদান করতে বলেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই ক্লিনিকে আবারও ২৫টি সাপের দেখা মিলে। এতে আতংক বিরাজ করছে ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএইচসিপি, সেবা নিতে আসা রোগী ও এলাকাবাসীর মধ্যে।

আর প্রতিদিনের এমন সাপের উপদ্রবের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পাঙ্গাশিয়া কেরামতিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম।

সেবা নিতে আসা রোগী মো. আবু তাহের, মো. বেলাল হোসেন ও পারভীন আক্তার জানান, আমরা সাপের ভয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে যেতে পারছি না। সেখানে প্রতিদিন বিষধর সাপ দেখা যায়। ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এখানে সাপ দেখা যায়। সে জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকের ভেতরে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি ওই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জনকে জানাই। সিভিল সার্জন বলেছেন পার্শ্ববর্তী কাছারিতে রোগীদের সেবা দিতে।

এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওই ক্লিনিকের ভেতরে কার্বোলিক অ্যাসিড দেয়া হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post