‘ভুয়া’ কয়েনের দাম এখন কোটি ডলার


অনলাইন ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের একজন কয়েন সংগ্রাহক ১৮৫৪ সালে ইস্যুকৃত বিরল একটি কয়েন হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। কারণ ৫ ডলার মূল্যের ওই কয়েন মাত্র চারটি আছে পৃথিবীতে। এগুলোর তিনটির সন্ধান পাওয়া গেলেও চতুর্থটির হদিস কারো জানা ছিল না। চতুর্থ এই কয়েনটি তিনি খুঁজে পেয়েছেন এটি তার কাছে বিরাট খুশির ব্যাপার ছিল। খবরটি প্রচার হবার পর তিনিও রীতিমতো ‘ভিআইপি’ হয়ে গেলেন। পরিচিতরা সম্মানের চোখে দেখতে লাগলো। পুলিশ নিজ উদ্যোগে তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল। কোনো দুর্বৃত্ত কয়েনটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তার কোনো ক্ষতি করে কিনা সেই ভয় ছিল পুলিশের। একারনেই নিরাপত্তার এত বাড়াবাড়ি।

তবে এটি আসলেই সেই কয়েনটি কি না তা যাচাই করার জন্য তিনি গোপনে কয়েকটি সংগ্রহশালার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করান। তারা প্রত্যেকেই তাকে হতাশ করে জানালেন, এটি ভূয়া কয়েন। অর্থাত্ আসল মুদ্রাটি এখনো অধরা। একটা জাল কয়েন তিনি বয়ে বেড়িয়েছেন এতদিন। এই কথা শুনে নিজেকে পৃথিবীর সবচে প্রতারিত ব্যক্তি বলে মনে হলো তার। পুলিশের কানেও খবরটি পৌছে গেল। একটি ভূয়া মুদ্রার মালিককে নিরাপত্তা দিতে তাদের আর আগ্রহ থাকলো না। ফলে তারাও সরে গেলেন। উপেক্ষা করতে লাগল স্বজনরাও।

তবে কষ্ট পেলেও হতাশ হলেন না ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি তার সংগ্রহটি নিয়ে কয়েন পরীক্ষার জন্য বিশ্বের সবচে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নুমিসম্যাটিক গ্যার্যান্টি করপোরেশন (এনজিসি) এর কাছে নিয়ে যান। তারা বাকি তিনটি মুদ্রার সঙ্গে এটির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেন, এটি আসল কয়েন। মোটেও ভূয়া নয়। তারা জানান, বাকি তিনটি কয়েনের সঙ্গে সব দিক দিয়ে এটি হুবহু মিলে গেছে। এনজিসি চেয়ারম্যান মার্ক স্যালসবার্গ পিআর নিউওয়্যারকে জানান, এটি মহামূল্যবান একটি কয়েন। ৫ ডলারের মুদ্রা হলেও এটির দাম এখন কোটি কোটি ডলার। এখন তিনি কয়েনটি বিক্রি করবেন না কি নিজের কাছে রেখে দিবেন সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। নিরাপত্তার কারণে কয়েনের সংগ্রাহক তার নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক নন বলে জানান স্যালসবার্গ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে বহুবার বিরল সংগ্রহশালায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। -নিউ ইয়র্ক টাইমস

Post a Comment

Previous Post Next Post