অনলাইন ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন আইনত কিছু প্রক্রিয়া শেষে জামিনে কারামুক্ত হবেন তিনি।
খালেদা জিয়ার কারামুক্তির প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশের পর খালেদা জিয়ার জামিনে কারামুক্তির প্রক্রিয়া হলো, হাইকোর্টের এই জামিন আদেশটি লিখিতভাবে রায় প্রদানকারী আদালতে যাবে। এরপর রায় প্রদানকারী আদালতে একটি বেইল বন্ড (জামিননামা) দাখিল করতে হবে।
আমিনুল ইসলাম আরও জানান, ওই বেইল বন্ড জমার পর বিচারিক আদালত কারাগার বরাবর একটি রিলিজ অর্ডার পাঠাবে। সেই অর্ডার হাতে পাওয়ার পর খালেদা জিয়া জামিনে কারামুক্ত হবেন।
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার বয়স, স্বাস্থ্য এবং কম সাজা বিবেচনা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ চার মাসের জামিন দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির জন্য পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে জেল ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন। রায়ের দিন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি কারাগারেই আছেন।