হবিগঞ্জের বিউটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার


অনলাইন ডেস্কঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের কিশোরী বিউটি আক্তার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে যাব-৯। শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিয়ানীবাজার র‍্যাব-৯ এর সদস্যরা বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।

সিলেটে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামী বাবুল মিয়াকে বিয়ানীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইতোমধ্যে আলোচিত এই ঘটনা তদন্তে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।

গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এরপর এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন।

এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে। মূল হোতা বাবুলকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

Post a Comment

Previous Post Next Post